নেত্রকোণা: পারিবারিক কলহের জেরে নেত্রকোণার সীমান্তে কলমাকান্দায় ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। শনিবার (১৫ মে) রাত ২টার দিকে উপজেলার কৈলাটি গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে রুক্কু মিয়াকে (৩৮) হত্যা করা হয়।
নিহত রুক্কু জেলার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা গ্রামের শামছুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় রুক্কুর স্ত্রী রবিনা আক্তারকে (৩২) করা হয়েছে। তিনি কৈলাটি গ্রামের বজলুর রহমানের মেয়ে। কলমাকান্দা থানার ওসি এটিএম মাহমুদুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ওসি মাহমুদুল হক বলেন, রুক্কু মিয়া তিনটি বিয়ে করেছেন। এর মধ্যে প্রথম স্ত্রী রবিনা ছাড়াও পরে নোয়াখালীতে দ্বিতীয় ও গাজীপুরে তৃতীয় বিয়ে করেন। রুক্কুর সঙ্গে ১১ বছরের সংসার জীবনে রবিনার ৯ বছর ও সাত বছরের দুইটি মেয়ে রয়েছে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে রুক্কু রবিনার ভরণপোষণের দায়িত্ব পালন করছিলেন না। একাধিক বিয়ে ও ভরণপোষণ না করা নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ চলে আসছিল। এর জেরে রবিনা প্রায় দুই মাস ধরে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
তিনি আরও জানান, ঈদের দিন সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যান রুক্কু। রাতের খাবার খেয়ে রুক্কু ঘুমিয়ে পড়লে তার মাথায় কুড়াল দিয়ে কোপ দেয় রবিনা। এতে ঘটনাস্থলেই রুক্কু মারা যান।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ রুক্কুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে তা নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় বলে জানিয়েছেন ওসি এটিএম মাহমুদুল হক।