Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঈদের দ্বিতীয় দিনে ভোলার বিনোদন কেন্দ্রে মানুষের ঢল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৬ মে ২০২১ ০০:৪১

ভোলা: ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় দিনেও ভোলার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। এদিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোররা দলবেঁধে ছুটে গিয়েছেন বিনোদন কেন্দ্রে। ভোলা সদর উপজেলার তুলাতুলি এলাকার শাহাবাজপুর মেঘনা পর্যটন কেন্দ্র, বাংলাবাজারের বাঘমাড়া ব্রিজ, তোফয়েল উদ্যোন, লালমোহনের সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল পার্ক, চরফ্যাশনের জ্যাকব টাওয়ার, বেতুয়া প্রশান্ত পার্ক, কুকড়ি-মুকড়ী কেন্দ্রগুলো তাই ঈদের দ্বিতীয় দিনে ছিল জমজমাট।

তবে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেলেও তাদের বেশিরভাগকেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। তবে বিনোদন কেন্দ্রগুলোর পরিচালকরা বলছেন, তারা দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের তাগিদ দিয়ে যাচ্ছেন।

শনিবার (১৫ মে) বিকেলে ভোলা সদরের তুলাতুলি শাহাবাজপুর মেঘনা পর্যটন কেন্দ্রে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে দর্শনার্থীদের ব্যাপক ভিড়। ইতালি প্রবাসী মো. কামরুল ও মো. তরিকুল ইসলাম রিয়াজ গিয়েছিলেন সেখানে ঘুরতে। তারা জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে গত বছর দেশে আর ফিরতে পারেননি। করোনার কারণে দীর্ঘ দিন ধরে ঘরবন্দি থেকে তারা হাঁপিয়ে উঠেছেন। তাই পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছেন ঈদের দ্বিতীয় দিনে। ঘোড়ার পিঠে চড়ে, স্পিডবোটে করে ঘোরাঘুরি করে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন বলে জানালেন।

কামরুল ও মো. তরিকুল ইসলাম রিয়াজ বলেন, আমরা করোনার মধ্যে ঘুরতে এসেছি, মুখে মাস্ক পরে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে। এছাড়াও সঙ্গে করে হেক্সিসল নিয়ে এসেছি। কিছুক্ষণ পর পর হাতে মাখছি। কিন্তু এখানে প্রচুর দর্শনার্থীর সমাগম হয়েছে। বেশিরভাগ মানুষই মাস্ক পরছে না, স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।

চরফ্যাশনের বেতুয়া প্রশান্ত পার্কে ঘুরতে এসেছিলেন মো. আরিফ হোসেন ও সাইফুল ইসলাম। তারা বলেন, আমরা ঢাকায় চাকরি করি। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ করতে ভোলায় এসেছি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘুরতে এসেছি। অনেক মজা করেছি।

তুলাতুলি শাহাবাজপুর মেঘনা পর্যটন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মো. দুলাল বলেন, আমাদের শাহাবাজপুর মেঘনা পর্যটন কেন্দ্রে অনেক মানুষ ঘুরতে আসছে। এখানে বিনোদনের জন্য ঘোড়া, নাগরদোলা, শিশুদের দোলনা, বসার বেঞ্চ, মেঘনা নদীর তীরে ঘোরাঘুরির জন্য স্পিডবোটসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা রাখা আছে। আমরা মাস্ক না থাকলে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছি না, সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলছি। কিন্তু সবাই যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে, এটা বলা যায় না।

মো. দুলাল আরও বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘ দিন আমাদের কেন্দ্রগুলো বন্ধ ছিল। মানুষের উপস্থিতি না থাকায় আমাদের অনেক লোকসান হয়েছে। এবার ঈদে কিছুটা হলেও আয়-উপার্জন থাকবে বলে মনে করছি।

সারাবাংলা/টিআর

ঈদুল ফিতর পর্যটন কেন্দ্র বিনোদন কেন্দ্র মানুষের ভিড়


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর