Monday 21 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মিতু হত্যা: ওয়াসিম-আনোয়ারকে গ্রেফতার দেখানোর অনুমতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৬ মে ২০২১ ১৭:৫৫

চট্টগ্রাম ব্যুরো: সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদ খানম মিতু হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া নতুন মামলায় কারাগারে থাকা দু’জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এরা হলেন, মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম এবং আনোয়ার হোসেন। উভয়ই একই ঘটনায় বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় কারাগারে আছেন, যে মামলা ইতোমধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে নিষ্পত্তি করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

নতুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই, চট্টগ্রাম মহানগরের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা আদালতে দু’জনকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। রোববার (১৬ মে) শুনানি শেষে চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার জাহান তাদের গ্রেফতার দেখানোর জন্য পিবিআইকে অনুমতি দেন।

বিজ্ঞাপন

এ নিয়ে মিতু হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া নতুন মামলায় বাবুল আক্তারসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হলো। চারজনই নতুন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘মিতু হত্যার পুরনো মামলায় কারাগারে থাকা ওয়াসিম ও আনোয়ারকে নতুন মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য পিবিআই আবেদন করেছিল। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছেন। দু’জনকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।’

পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, মিতু হত্যার ঘটনায় বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় ওয়াসিম ও আনোয়ারের সঙ্গে শাহজাহান নামে আরও একজন কারাগারে আছেন। তিনজনই নতুন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। কারাগারে থাকা শাহজাহানকে আগামীকাল (সোমবার) গ্রেফতারের জন্য আবেদন করা হবে। পরবর্তীতে তাদেরকেও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হবে।

বিজ্ঞাপন

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। জিজ্ঞাসাবাদসহ নানা নাটকীয়তার পর ওই বছরের আগস্টে বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। এরপর মামলার তদন্তে গতি আসে। ১৫ মাস পর গত ১১ মে বাদি বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেয় পিবিআই। তবে এর আগেই ঘটনার সঙ্গে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হন তদন্তসংশ্লিষ্টরা। পরদিন আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয় বাবুল আক্তারের মামলার।

এরপর মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন নগরীর পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে নতুনভাবে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আরও সাতজন আসামি আছেন। এরা হলেন, মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ হানিফুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু, মো. সাইদুল ইসলাম সিকদার সাক্কু এবং শাহজাহান মিয়া। এই মামলাও তদন্ত করছে পিবিআই।

মোশাররফ হোসেনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার (১২ মে) বাবুল আক্তারকে আদালতে হাজির করে পিবিআই। আদালত তার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বাবুল আক্তারকে পিবিআই হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

গত ১২ মে রাতে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রাণীরহাট এলাকা থেকে র‌্যাবের একটি দল নতুন মামলার আসামি মো. সাইদুল ইসলাম সিকদার সাক্কুকে গ্রেফতার করে পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করে। তাকেও চারদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

রোববার (১৬ মে) গ্রেফতার দেখানো দুই আসামি ওয়াসিম ও আনোয়ার প্রায় পাঁচ বছর ধরে কারাগারে আছেন। মিতু হত্যার পর ২০১৬ সালের ২৬ জুন আনোয়ার ও ওয়াসিমকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জানিয়েছিলেন, মিতু হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি তাদের এহতেশামুল হক ভোলা দিয়েছিল। তাদের তথ্যে ভোলাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

সারাবাংলা/আরডি/এসএসএ

টপ নিউজ মিতু হত্যা

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু
২১ অক্টোবর ২০২৪ ২১:৫২

ফটোসাংবাদিক শোয়েব মিথুন আর নেই
২১ অক্টোবর ২০২৪ ২১:০৭

সম্পর্কিত খবর