Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রেহানা-আমার প্রতিজ্ঞা ছিল— স্বাধীনতাকে সফল করতেই হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৭ মে ২০২১ ১৪:৪৪

ঢাকা: স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আল্লাহ সবসময় সহযোগিতা করে এবং আল্লাহ মানুষকে কিছু কাজ দেয়। সে কাজটি যতক্ষণ শেষ না হয় ততক্ষণ কিন্তু আল্লাহ তাকে রক্ষা করে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা কখনও ব্যর্থ হতে পারে না। স্বাধীনতাকে সফল করতেই হবে। এই প্রতিজ্ঞা সবসময় আমার আর রেহানার ছিল। দেশে আসার পর আমাদের অনেক ঝড়-ঝাপটা পার হতে হয়েছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৭ মে) মন্ত্রিসভা বৈঠকে ১৯৮১ সালে ১৭ ই মে স্বদেশে ফেরার স্মৃতিচারণ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে যুক্ত ছিলেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে ৪০ বছর আগে দেশের মাটিতে ফিরে আসার স্মৃতিচারণ করেন আজকের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এই বাংলাদেশ স্বাধীন বাংলাদেশ, স্বাধীন থাকবে এবং আমার বাবার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলব। সেই অনেক ঝড়-ঝাপটা অনেক বাধা অতিক্রম করেই আমাকে আসতে হয়েছিল। কারণ অনেক বাধা ছিল। তখনকার সরকার কিছুতেই আমাকে আসতে দেবে না। আমার বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র, অনেক চিঠিপত্র পাঠানো.. অনেক করা, বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা, অনেক কিছুই করা হয়েছে।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৫ আগস্ট পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের হত্যা করার পর দীর্ঘ ছয় বছর প্রবাস জীবন শেষে আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্বভার নিয়ে দেশের মাটিতে আসেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। তিনি সেই স্মৃতি হাতড়িয়ে বলেন, ‘জানতামই যে খুনি এবং যুদ্ধাপরাধী তাদের বিচার আমার বাবা শুরু করেছিলেন। তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তারা ক্ষমতায়। খুনিদের ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছে, তারা ক্ষমতায়। ওই অবস্থায় কিন্তু আমি চলে আসছিলাম। আমি কোনোকিছু চিন্তা করিনি, আমি চলে এসেছি।’

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘এই স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে পারে না, স্বাধীনতাকে আমাদের সফল করতেই হবে। ওইভাবে একটি প্রতিজ্ঞা আমার আর রেহানার সবসময় ছিল। চলেও এসেছিলাম। আসার পর থেকে অনেক ঝড়-ঝাপটা পার হতে হয়েছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে এসেছি তো ঝড় মাথায় নিয়ে। সেদিন ৬০ মাইল বেগে ঝড় হচ্ছিল। তখন আমি ট্রাকে আর হাজার হাজার মানুষ রাস্তায়।’

যারা ওই সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ছিলেন, যারা দলের সভাপতি নির্বাচিত করেছিলেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা জনগণের শক্তিটা হচ্ছে সব থেকে বড় শক্তি। কারণ আমি যখন বাবা-মা ভাইবোন হারিয়ে এই দেশে এসেছি; গ্রাম-গঞ্জে যেখানেই গেছি সাধারণ মানুষ, গ্রামের মানুষদের অনেক ভালোবাসা, স্নেহ পেয়েছি।’

‘শুধু আমাদের দেশের ভেতরে না, বাইরের সবকিছু মিলিয়েই অনেক ঝড়-ঝাপটা পার হয়েই আজকে এই জায়গাটায় আসতে পেরেছি। এটিই হচ্ছে সব থেকে বড় কথা। আর ইতিহাস একেবারেই মুছে ফেলা হয়েছিল, পুরো পরিবর্তন করা হয়েছিল। এখন একটা আত্মবিশ্বাস এসে গেছে বাংলাদেশের ইতিহাস আর কেউ কোনোদিন বিকৃত করতে পারবে না, মুছতে পারবে না।’

সে জন্য দেশের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি দলের সেই সময়কার নেতাকর্মীসহ যারা সঙ্গে থেকে কাজ করেছেন তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার ফিরে আসার ব্যাপারে সব থেকে আগে স্টেটমেন্ট দেয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ওবায়দুল কাদের। সে তখন ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট। আর যুবলীগের চেয়ারম্যান ছিলেন তখন আমাদের আমির হোসেন আমু। যুবলীগের পক্ষ থেকে তারা দিয়েছিলেন। আর পার্লামেন্টের পক্ষ থেকে এই কথাটা তুলেছিলেন মিজানুর রহমান চৌধুরী। যদিও তিনি পরে অন্য দলে চলে যান। কিন্তু তিনিই প্রথম আমার আর রেহানার দেশে আসার বিষয়টা তিনি তুলেছিলেন।’

‘এইটুকু বলতে পারি, আল্লাহ সবসময় সহযোগিতা করে এবং আল্লাহ কিছু কাজ দেয় মানুষকে। সে কাজটা যতক্ষণ শেষ না হয় ততক্ষণ কিন্তু আল্লাহ রক্ষা করে’ বলে দৃঢ়তা প্রকাশ করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।

বাংলাদেশে ফেরার পর বিভিন্ন সময় তার ওপর হামলা করে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছিল, সেদিকে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ আজকে যে জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, এগিয়ে যাবে; সেটি আশা করি।’

পাশাপাশি বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

সারাবাংলা/এনআর/একে

আওয়ামী লীগ টপ নিউজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর