Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জবানবন্দি দেননি বাবুল আক্তার, কারাগারে প্রেরণ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৭ মে ২০২১ ১৫:২৪

চট্টগ্রাম ব্যুরো: প্রায় সোয়া চার ঘণ্টা আদালতে অবস্থানের পরও স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় জবানবন্দি দেননি সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

রিমান্ডে নিয়ে পাঁচ দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর সোমবার (১৭ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার জাহানের আদালতে হাজির করে তদন্তকারী সংস্থার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বিজ্ঞাপন

জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য সরাসরি তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের খাস কামরায় নেওয়া হয়। দুপুর পৌনে ৩টার দিকে বাবুল আক্তারকে খাস কামরা থেকে বের করে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

আরও পড়ুন- সেই মুসাকে এখন ‘চিনতে পেরেছেন’ বাবুল আক্তার

জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই, চট্টগ্রাম মহানগরের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা সারাবাংলাকে বলেন, ‘উনি (বাবুল আক্তার) জবানবন্দি দিতে সম্মত হননি। আদালত উনাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।’

আগামীকাল মঙ্গলবার (১৮ মে)  বাবুল আক্তারকে আবারও রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হবে বলে পিবিআই সূত্রে জানা গেছে।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদসহ নানা নাটকীয়তার পর ওই বছরের আগস্টে বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

হত্যাকাণ্ডের পরের বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে মিতুর বাবার মোশাররফ হোসেন প্রথম এই খুনে বাবুলের জড়িত থাকার সন্দেহ প্রকাশ করেন এবং বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে বাবুল যা করেছেন সবটাই ছিল তার অভিনয়। তবে দীর্ঘ দিন ধরে এ ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা পায়নি পুলিশ।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাত ঘুরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলার তদন্তভার পড়ে পিবিআই’র ওপর। এরপর আস্তে আস্তে জট খুলতে থাকে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টিকারী চাঞ্চল্যকর এই মামলার।

গত ১১ মে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। তদন্তে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের লক্ষ্যে ১২ মে ওই মামলার ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয় পিবিআই।

একইদিন (১২ মে) দুপুরে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারসহ আট জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার বাকি সাত আসামি হলেন— মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ হানিফুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু, মো. সাইদুল ইসলাম সিকদার সাক্কু এবং শাহজাহান মিয়া।

ছবি: শ্যামল নন্দী

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

এসপি বাবুল বাবুল আক্তার মিতু হত্যা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর