Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

খিলক্ষেত ফ্লাইওভারে গুলিবিদ্ধ দু’জন ডাকাত, নিহত ‘বন্দুকযুদ্ধে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৮ মে ২০২১ ১০:৫৯

প্রতীকী ছবি

ঢাকা: রাজধানীর খিলক্ষেত-পূর্বাচল ফ্লাইওভারের ওপর থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা দুই যুবক ‘ডাকাত’ বলে জানিয়েছে পুলিশ। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তাদের মৃত্যু হয়েছে। এসময় চক্রের আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশের দাবি, নিহত ও গ্রেফতারকৃতরা উভয়ই ডাকাত দলের সদস্য। তারা সিএনজিতে সুযোগ মতো যাত্রী তুলে তাদের সর্বস্ব ছিনিয়ে নিতো। এসময় যাত্রীরা বাধা দিলে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে ফেলে দেওয়া। অনেক সময় চোখেমুখে অচেতন করার মলম লাগিয়েও ফেলে দিতো তারা।

বিজ্ঞাপন

পুলিশের ভাষ্যমতে, নিহত দু’জনের নাম এনামুল ও রাসেল। তাদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।

গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, ১৭ মে দিবাগত রাত ২টা থেকে ২টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান এবং এডিসি গোলাম সাকলায়েনের নেতৃত্বে একাধিক টিম এবং খিলক্ষেত থানা পুলিশের সমন্বিত দলের সঙ্গে সশস্ত্র ডাকাত দলের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

গোলাগুলি শেষে উপস্থিত জনতার সহায়তায় পুলিশ একটি সবুজ রঙের সিএনজিসহ দু’জন ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে এবং ঘটনাস্থল থেকে দুই জন সন্ত্রাসীর রক্তাক্ত আহত দেহ ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে।

খিলক্ষেত ফ্লাইওভার থেকে ২ জনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার

ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি সিএনজি অটোরিকশা, একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ভর্তি একটি ম্যাগাজিন, কাঠের বাটযুক্ত একটি পুরানো ধারালো ছুরি, দু’টি টাইগার বাম, একটি সবুজ রঙের গামছা, নয়টি স্মার্ট এবং বাটন মোবাইল, ১৬ পিস ইয়াবা, একটি লাইটার এবং নগদ ৫০০০ টাকা উদ্ধার করে।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে পুলিশ আরও জানায়, গতকাল তারা টঙ্গীর মধুমিতায় একত্রিত হয়ে প্রথমে আব্দুল্লাহপুর খন্দকার পেট্রল পাম্পে আসে। সেখান থেকে উপযুক্ত ‘মক্কেল’ না পেয়ে বিমানবন্দর হয়ে কাওলার দিকে আসতে থাকে। উদ্দেশ্য ছিল ঢাকার অভ্যন্তরে যাতায়াতকারী একক ব্যক্তি যার কাছে মূল্যবান সামগ্রী এবং টাকাপয়সা থাকে তাকে সিএনজিতে তুলে সর্বস্ব ছিনিয়ে নেওয়া।

গ্রেফতার হওয়া নয়ন এবং ইয়ামিন আরও জানায়, মূলত গামছা এবং মলম দিয়েই তারা মানুষের সর্বস্ব কেড়ে নিতো। ভিকটিম জোরাজুরি করলে তাকে ফাঁস দিয়ে হত্যা করে ফেলে দেওয়া হতো। পুলিশ বা অন্য সন্ত্রাসী গ্রুপের দ্বারা আক্রান্ত হলে নিজেদের রক্ষা করার জন্যই তারা সিএনজিতে আগ্নেয়াস্ত্র এবং ছুরি বহন করতো।

গ্রেফতারকৃত এবং নিহত আসামিরা ছিনতাই, ডাকাতি, হত্যা এবং মাদকের একাধিক মামলার আসামি। তারা সবাই মাদকাসক্ত বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

সারাবাংলা/ইউজে/এমও

খিলক্ষেত ফ্লাইওভার ছিনতাই টপ নিউজ ডাকাত বন্দুকযুদ্ধ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর