রোহিঙ্গা ইস্যুতে ১৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র
১৮ মে ২০২১ ২১:৫৯
ঢাকা: মিয়ানমারের ১১ লাখেরও বেশি নাগরিক গত চার বছর ধরে বাংলাদেশের একাধিক আশ্রয় শিবিরে রয়েছেন। এসব রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মিয়ানমারে ফিরে যাওয়া এবং নিরাপত্তার জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার নেতৃত্বে মঙ্গলবার (১৮ মে) ৯৪ কোটি ডলারের চতুর্থ যৌথ পরিকল্পনা (জয়েন্ট রেসপন্স প্লান বা জেআরপি) ঘোষণা করা হয়। ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্র মানবিক সহায়তা হিসেবে আরও প্রায় ১৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার অর্থ সহায়তা দেওয়ার কথা জানিয়েছে।
জানা গেছে, যৌথ পরিকল্পনার এই অর্থ খরচ হবে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার জন্য। আর এই অর্থ যাতে সুষ্ঠুভাবে ব্যয় হয় তা নিজেদের খরচে নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ।
যুক্তরাষ্ট্রের পিআরএম ব্যুরোর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ন্যান্সি ইজো জ্যাকসন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকে মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে দাতা হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারায় গর্বিত। আমি আনন্দের সঙ্গে আজ ঘোষণা করছি যে, যুক্তরাষ্ট্র নতুন মানবিক সহায়তা হিসেবে আরেও প্রায় ১৫৫ মিলিয়ন ডলার দেবে— যার বেশিরভাগই ২০২১ সালের বাংলাদেশ জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান (জেআরপি) বাস্তবায়নে ব্যবহার করা হবে’।
নতুন এই তহবিলসহ ২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া মোট মানবিক সহায়তার পরিমাণ ১৩০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। যার মধ্যে ১১০ কোটি ডলারের বেশি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যয় করা হয়েছে।
এসব তথ্য জানিয়ে ন্যান্সি ইজো জ্যাকসন বলেন, ‘নতুন এই তহবিল আমাদের অংশীদারদের বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ৯ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবন রক্ষায় সহায়তা করা অব্যাহত রাখতে সাহায্য করবে, যাদের মধ্যে ৭ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা ২০১৭ সালে বার্মার রাখাইন রাজ্যে জাতিগত নির্মূল ও অন্যান্য ভয়াবহ নৃশংসতা ও নির্যাতনের কারণে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিল। এছাড়াও এই তহবিল বার্মা থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রভাবিত ৪ লাখ ৭২ হাজারেরও বেশি স্থানীয় বাংলাদেশি জনগণকে প্রয়োজনীয় সহায়তা পেতে সাহায্য করবে’।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা, জরুরি টেলিযোগাযোগ, খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, সুরক্ষা, আশ্রয় ও ত্রাণ সামগ্রী এবং পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ মানবিক সহায়তার সকল ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে যুক্তরাষ্ট্রের এ মানবিক সহায়তা। আমরা কোভিড-১৯ মহামারি প্রতিরোধ ও মোকাবিলা, পরিবেশ বিষয়ক কর্মসূচি ও পরিকল্পিত মিয়ানমার পাঠ্যক্রম পাইলট কর্মসূচিসহ একটি সু-সমন্বিত মানবিক কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য এই কার্যক্রমে নিয়োজিত সকল পক্ষের প্রশংসা করছি’।