Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘জাফরুল্লাহরা এখনো ১৫ আগস্ট ঘটানোর ইঙ্গিত দেন’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৮ মে ২০২১ ২১:৫৯

চট্টগ্রাম ব্যুরো: আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে প্রতিপক্ষ প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত; সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই বিএনপিপন্থি বুদ্ধিজীবী ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীরা আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর ইঙ্গিত দেন — বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

শেখ হাসিনার ৪০তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৮ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানরগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিপক্ষ তারা এদেশের স্বাধীনতা চায়নি, তারা ষড়যন্ত্র করেছিল। এখনো যারা বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রতিপক্ষ, তারা রাজনৈতিকভাবে শেখ হাসিনাকে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই। সেজন্যই ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী ঢাকার বুকে আর রাজশাহীতে মিজানুর রহমান মিনু আস্ফালন করেন, আবার একটা ১৫ আগস্ট ঘটানোর ইঙ্গিত দেন। তারা যে ভেতরে ভেতরে ষড়যন্ত্র করছে, এগুলো তারই বহিঃপ্রকাশ।

নেতাকর্মীদের চোখ-কান খোলা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ৪০ বছর ধরে বহু ষড়যন্ত্র হয়েছে। ২১ বছর শুনতে হয়েছে আওয়ামী লীগ কখনো রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে পারবে না। যারা সে কথা বলতো তাদের আস্ফালনকে মিথ্যা প্রমাণিত করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ চারবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে।

তরুণ নেতাকর্মীদের বিনয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ক্ষমতায় থাকলে বিনয়ী হতে হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে যে উন্নয়ন চলছে, এর সাথে যদি বিনয় যুক্ত হয়, তাহলে দেশের মানুষ আবারো রায় দিয়ে আওয়ামী লীগকে এই দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেবে। পরপর তিনবার ক্ষমতায় থাকায়, অনেক নেতা-কর্মীর মধ্যে আলস্য এসে গেছে। এই আলস্য কাম্য নয়। বহু উন্নয়ন হয়েছে, কিন্তু নেতাকর্মীদের মধ্যে যদি আস্ফালন থাকে, তাহলে মানুষ সেই উন্নয়ন ভুলে যাবে, দলকে পছন্দ করবে না।

বিজ্ঞাপন

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, যে পাকিস্তানকে পরাজিত করে স্বাধীনতা এসেছিল, সেই পাকিস্তান এখন বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। এটাই শেখ হাসিনার রাজনীতির সার্থকতা। অথচ সেদিন সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের সরকার শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরতে দিতে চায়নি। জিয়া সরকারের প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমান সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিলেন, শেখ হাসিনা যদি এদেশে আসে তাহলে নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে। বহু রক্তচক্ষু ও ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন। দেশে ফেরার পর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে জিয়াউর রহমান তাকে মিলাদ পড়াতে দেননি, ৩২ নম্বরে ঢুকতেও দেননি। ৩২ নম্বরের সামনে রাস্তায় বসে বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে মিলাদ পড়াতে হয়েছিল। এমনকি টুঙ্গিপাড়ার বাড়িতেও যেতে দেয়া হয়নি।

কিন্তু সব বাধা অতিক্রম করে বঙ্গবন্ধুকন্যা এগিয়ে গেছেন। যে গণতন্ত্র সামরিক ছাউনির মধ্যে বন্দি ছিল, শেখ হাসিনা সেই সামরিক ছাউনি থেকে গণতন্ত্রকে মুক্ত করে এনেছেন। তিনি বাংলাদেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। বাংলাদেশকে একটি মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন। আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শুধুমাত্র গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা নয়, বাংলাদেশ পৃথিবীর সামনে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে — বলেন হাছান মাহমুদ।

বন্দর নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী। প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় ওই সভায় আরও বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগ নেতা আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম, আবদুচ ছালাম, নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনি, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, দিদারুল আলম চৌধুরী, হাজী মোহাম্মদ হোসেন, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, আবদুল লতিফ টিপু এবং জাহাঙ্গীর চৌধুরী।

সারাবাংলা/আরডি/একেএম

টপ নিউজ তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর