রোহিঙ্গা ইস্যুতে ৪০ লাখ ডলার সহায়তা দেবে দ.কোরিয়া
১৯ মে ২০২১ ১৯:১০
ঢাকা: দীর্ঘায়িত রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট নিরসনে সহায়তার লক্ষ্যে প্রজাতন্ত্র কোরিয়া বাংলাদেশে অবস্থিত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে চলতি বছর ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সহায়তা রোহিঙ্গা মানবিক সংকট মোকাবিলার জন্য সম্প্রতি ঘোষিত ২০২১ সালের জয়েন্ট রেস্পন্স প্ল্যানের (জেআরপি) আওতায় বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং তাদের আয়োজক সম্প্রদায়ের সহায়তায় জাতিসংঘের সংস্থা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মানবিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার হবে।
ঢাকায় অবস্থিত কোরিয় দূতাবাস বুধবার (১৯ মে) জানিয়েছে, এই বছরের ৪০ লাখ মার্কিন ডলার ইউএনএইচসিআর, ইউনিসেফ, ডাব্লুএফপি, আইওএম এবং আইএফআরসি’র জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মার্চে কক্সবাজার শরণার্থী শিবিরে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জরুরি সহায়তা করার জন্য ইতিমধ্যে আইওএমকে ১০ লা মার্কিন ডলার দেওয়া হয়েছিল। রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং আয়োজক সম্প্রদায়কে, কোরিয়ার পক্ষ থেকে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা মোকাবিলা, শিশু ও মেয়েদের সহায়তা দেওয়া এবং জরুরি অবস্থা ও দুর্যোগ ত্রাণ ইত্যাদি ক্ষেত্রগুলোকে অগ্রাধিকারে ভিত্তিতে আয়োজক সম্প্রদায়ের মাধ্যমে সহয়ায়তা দেওয়া হবে।
আর্থিক অবদানের পাশাপাশি, কোইকা’র (প্রজাতন্ত্র কোরিয়া’র আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা) মাধ্যমে প্রজাতন্ত্রের কোরিয়া, রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং হোস্ট সম্প্রদায়কে অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক এনজিওর সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সহায়তার জন্য বেশকয়েকটি মানবিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। ইউএনএফপিএর সহযোগিতায়, কোইকা কক্সবাজারে নারী ও মেয়েদের মাসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চলেছে, যা ২০২২-২৪ সময়ের জন্য ৩০ লাখ ডলার মূল্যের। কক্সবাজার শরণার্থী এবং আয়োজক সম্প্রদায়ের সমর্থনকারী বিভিন্ন প্রকল্পে কক্সবাজারে আদি, ওয়ার্ল্ড ভিশন এবং কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের মতো এনজিওর সঙ্গেও কাজ করছে কোইকা।
বাংলাদেশের আস্থাভাজন অংশীদার হিসাবে, কোরিয়ান সরকার ২০১৭ সালে প্রাদুর্ভাবের পর থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কোরিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী-সম্পর্কিত কার্যক্রমে সহায়তার জন্য বাংলাদেশে ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রায় ২ কোটি মার্কিন ডলার সরবরাহ করেছে। এই মানবিক সহায়তা বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি এবং আয়োজক সম্প্রদায়ের সুরক্ষায় সহায়তা করবে।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের বিষয়ের টেকসই সমাধানের সন্ধানে মানবিক সংকট মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে চলেছে প্রজাতন্ত্র কোরিয়া।
সারাবাংলা/জেআইএল/পিটিএম