‘রোজিনার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে, সরকারের ওপর আস্থা রাখুন’
১৯ মে ২০২১ ২২:২৮
ঢাকা: দৈনিক প্রথম আলোর জেষ্ঠ্য প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বিষয়টি আবেগতাড়িত হয়ে না দেখার অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি যেন ন্যায় বিচার পান, তার প্রতি কোনো অন্যায় যেন না হয়, সেটি আমরা দেখছি। সরকারের ওপর আস্থা রাখুন। প্রধানমন্ত্রী ও আমি সাংবাদিকদের মর্যাদা ও সম্মান রক্ষায় আন্তরিক ও বদ্ধপরিকর।’
বুধবার (১৯ মে) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে করোনাকালীন সাংবাদিক সহায়তার দ্বিতীয় পর্যায়ের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে তথ্য কমিশন গঠিত হয়েছে। কমিশনের মাধ্যমে যে কেউ যেকোনো তথ্য সরকারের কাছে চাইতে পারেন। কমিশনের মাধ্যমে তিনি শুধু সে তথ্যই পাবেন না, যেটি নন-ডিসক্লোজার আইটেম। এক্ষেত্রে গোপন নথি পাচার অন্যায়।
সরকারের কাছ থেকে তথ্য পেতে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হয়, না পেলে তথ্য কমিশনে আবেদন করা যায় উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, ২০১৪ সালে গঠিত হওয়ার পর থেকে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ১৯ হাজার ৮৩১টি আবেদন নিষ্পত্তি করেছে কমিশন।
মন্ত্রীরা বাংলাদেশে দু’টি শপথ গ্রহণ করেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, একটি হচ্ছে মন্ত্রী হিসেবে শপথ, অন্যটি হচ্ছে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা রক্ষার শপথ। সে শপথ আমাকেও নিতে হয়েছে। যেহেতেু আমি রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তার শপথ নিয়েছে, মন্ত্রিসভায় কোনো কিছু আলোচনা হলে সেটি বাইরে বলতে পারি না। যেটি আমাকে বলতে বলা হবে শুধু সেটুকুই বলতে পারব।
প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের কল্যাণে যে কাজগুলো বাংলাদেশে করেছেন, সেটি অতুলনীয় ও অভাবনীয় বলে মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী। রোজিনা ইসলাম যেন সুবিচার পান, সেটি নিশ্চিত করার আশ্বাসও দেন তিনি।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে বারবার স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। পুলিশ হেফাজতে তার সম্মান যেন রক্ষা হয় এবং কারা হেফাজতে তিনি যেন সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা পান, সেটি আমাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন। তিনি যেন ন্যায়বিচার পান, সেটি অবশ্যই আমরা নিশ্চিত করব। এখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কারও কোনো দায় থাকলে সেটিও নিশ্চয় বের হয়ে আসবে।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে রোজিনা ইসলামকে নিয়ে কী ঘটনা ঘটেছিল, সেটি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্যাখ্যা করেছেন। এখান প্রশ্ন হলো তিনি সেখানে পাঁচ ঘণ্টা আটক থাকলেন কেন? স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা পাঁচ ঘণ্টা আটক রাখেনি, একঘণ্টা পরই পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন। যে দেরিটা হয়েছে, সেটি কেন হলো পুলিশ খুঁজে বের করবে। এ নিয়ে মামলা হয়েছে, বিষয়টি তদন্তাধীন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও একটি তদন্ত কমিটি করেছে। সেই কমিটির মাধ্যমে নিশ্চয় বেরিয়ে আসবে তাকে সেখানে কেউ হেনস্তা করেছিল কি না। রোজিনা ইসলামের কী অপরাধ ছিল, এ ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কারও কোন অপরাধ আছে কি না— সব বেরিয়ে আসবে। পুলিশও তদন্ত করছে।
তিনি বলেন, সাংবাদিক বন্ধুদের অনুরোধ জানাব— সরকারের ওপর আস্থা রাখুন। সরকার ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। কিন্তু কেউ অন্যায় করলে, নিয়ম-নীতির যদি কেউ তোয়াক্কা না করে সেক্ষেত্রে যেন সেখানে ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়, সে ব্যাপারে নিশ্চয়ই সাংবাদিক সমাজ একমত থাকবে।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর ওয়াজেদ। এসময় সাংবাদিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/জেআর/টিআর
ঢাকা: দৈনিক প্রথম আলোর জেষ্ঠ্য প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বিষয়টি আবেগতাড়িত হয়ে না দেখার অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি যেন ন্যায় বিচার পান, তার প্রতি কোনো অন্যায় যেন না হয়, সেটি আমরা দেখছি। সরকারের ওপর আস্থা রাখুন। প্রধানমন্ত্রী ও আমি সাংবাদিকদের মর্যাদা ও সম্মান রক্ষায় আন্তরিক ও বদ্ধপরিকর।’
বুধবার (১৯ মে) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে করোনাকালীন সাংবাদিক সহায়তার দ্বিতীয় পর্যায়ের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে তথ্য কমিশন গঠিত হয়েছে। কমিশনের মাধ্যমে যে কেউ যেকোনো তথ্য সরকারের কাছে চাইতে পারেন। কমিশনের মাধ্যমে তিনি শুধু সে তথ্যই পাবেন না, যেটি নন-ডিসক্লোজার আইটেম। এক্ষেত্রে গোপন নথি পাচার অন্যায়।
সরকারের কাছ থেকে তথ্য পেতে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হয়, না পেলে তথ্য কমিশনে আবেদন করা যায় উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, ২০১৪ সালে গঠিত হওয়ার পর থেকে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ১৯ হাজার ৮৩১টি আবেদন নিষ্পত্তি করেছে কমিশন।
মন্ত্রীরা বাংলাদেশে দু’টি শপথ গ্রহণ করেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, একটি হচ্ছে মন্ত্রী হিসেবে শপথ, অন্যটি হচ্ছে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা রক্ষার শপথ। সে শপথ আমাকেও নিতে হয়েছে। যেহেতেু আমি রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তার শপথ নিয়েছে, মন্ত্রিসভায় কোনো কিছু আলোচনা হলে সেটি বাইরে বলতে পারি না। যেটি আমাকে বলতে বলা হবে শুধু সেটুকুই বলতে পারব।
প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের কল্যাণে যে কাজগুলো বাংলাদেশে করেছেন, সেটি অতুলনীয় ও অভাবনীয় বলে মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী। রোজিনা ইসলাম যেন সুবিচার পান, সেটি নিশ্চিত করার আশ্বাসও দেন তিনি।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে বারবার স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। পুলিশ হেফাজতে তার সম্মান যেন রক্ষা হয় এবং কারা হেফাজতে তিনি যেন সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা পান, সেটি আমাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন। তিনি যেন ন্যায়বিচার পান, সেটি অবশ্যই আমরা নিশ্চিত করব। এখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কারও কোনো দায় থাকলে সেটিও নিশ্চয় বের হয়ে আসবে।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে রোজিনা ইসলামকে নিয়ে কী ঘটনা ঘটেছিল, সেটি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্যাখ্যা করেছেন। এখান প্রশ্ন হলো তিনি সেখানে পাঁচ ঘণ্টা আটক থাকলেন কেন? স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা পাঁচ ঘণ্টা আটক রাখেনি, একঘণ্টা পরই পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন। যে দেরিটা হয়েছে, সেটি কেন হলো পুলিশ খুঁজে বের করবে। এ নিয়ে মামলা হয়েছে, বিষয়টি তদন্তাধীন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও একটি তদন্ত কমিটি করেছে। সেই কমিটির মাধ্যমে নিশ্চয় বেরিয়ে আসবে তাকে সেখানে কেউ হেনস্তা করেছিল কি না। রোজিনা ইসলামের কী অপরাধ ছিল, এ ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কারও কোন অপরাধ আছে কি না— সব বেরিয়ে আসবে। পুলিশও তদন্ত করছে।
তিনি বলেন, সাংবাদিক বন্ধুদের অনুরোধ জানাব— সরকারের ওপর আস্থা রাখুন। সরকার ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। কিন্তু কেউ অন্যায় করলে, নিয়ম-নীতির যদি কেউ তোয়াক্কা না করে সেক্ষেত্রে যেন সেখানে ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়, সে ব্যাপারে নিশ্চয়ই সাংবাদিক সমাজ একমত থাকবে।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর ওয়াজেদ। এসময় সাংবাদিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/জেআর/টিআর