Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হত্যা মামলায় সাবেক এমপি আউয়াল রিমান্ডে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২১ মে ২০২১ ১৬:৪৮

এম এ আউয়াল। ফাইল ছবি

ঢাকা: হত্যা মামলার আসামি সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রাজধানীর পল্লবীতে সাত বছর বয়সী সন্তানের সামনে ব্যবসায়ী সাহিনুউদ্দিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলার অন্যতম আসামি লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এই এমপি।

শুক্রবার (২১ মে) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি এ রিমান্ডের আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন সাবেক এমপি এম এ আউয়ালকে আদালতে হাজির করেন। তিনি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আরও পড়ুন- ‘স্যার ফিনিশ’— কুপিয়ে হত্যার পর সাবেক এমপিকে জানায় খুনি

গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ মে) কিশোরগঞ্জের ভৈরব এলাকা থেকে সাহিনুদ্দিনকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি এম এ আউয়ালকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।

পরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানায়, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে রাজধানীর পল্লবীতে সাহিনুদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এক বিঘার বেশি পরিমাণ জমি কেনার চেষ্টার করছিল সাবেক এমপি আউয়ালের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ‘হ্যাভিলি প্রোপার্টি’। নিহত সাহিনুদ্দিন ও তার স্বজনরা ওই জমির মালিক। কম টাকায় জমি কিনতে না পারার কারণে এই হত্যার ঘটনা ঘটে।

র‌্যাব জানায়, ১১/১২ মে’র দিকে এম এ আউয়ালের কলাবাগানের অফিসে এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী সুমন, বাবুসহ কয়েকজন মিটিং করে ঘটনার দিন মীমাংসার অজুহাতে সাহিনুদ্দিনকে ঘটনাস্থলে ডেকে পাঠায়। শাহিন তার সাত বছরের শিশু মাশরাফিকে নিয়ে সেখানে যান। সেখানে সন্তানের সামনেই তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

হত্যাকাণ্ডের পর আসামিরা ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে গা ঢাকা দেন। তাদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে র‌্যাব। ১৭ মে মামলার ১৩ নম্বর আসামি দিপুকে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেফতার করে পল্লবী থানায় সোপর্দ করে র‌্যাব-৪। ১৯ মে চাঁদপুর থেকে হাসান নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। ২০ মে রাতে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী এম এ আউয়ালকে ভৈরব থেকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া পটুয়াখালীর বাউফল থেকে ১৯ নম্বর আসামি জহিরুল ইসলাম বাবুকে গ্রেফতার করে র‌্যাবের আরেকটি দল। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশও এ ঘটনায় জড়িত আরও পাঁচ-ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে।

আরও পড়ুন- পল্লবীতে হত্যা মামলার আসামি সাবেক এমপি আউয়াল গ্রেফতার

জানা যায়, গ্রেফতার এম এ আউয়াল তরিকত ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য হন।

শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও নিয়ম বহির্ভূত কাজ করায় দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ২০১৮ সালে আউয়ালকে দল থেকে বহিষ্কার করে তরিকত ফেডারেশন। পরে ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি নামে একটি দল গঠন করেন। বর্তমানে তিনি দলটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। ভৈরবে তার একটি পীরের আস্তানা রয়েছে। সেখান থেকেই র‌্যাব তাকে গ্রেফতার করে।

সারাবাংলা/এআই/টিআর

এম এ আউয়াল টপ নিউজ সাবেক এমপি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর