‘গুম’ হওয়া রুবেল ফিরে এলো ১৩ বছর পর
২১ মে ২০২১ ১৮:০৪
নারায়ণগঞ্জ: ১৩ বছর পর জেলার সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নের কুড়েরপাড় এলাকার রুবেল ওরফে আল আমিন নামে জীবিত ফিরে এসেছেন। তাকে হত্যার পর গুম করা হয়েছে এই অভিযোগে দু’জন মুক্তিযোদ্ধাসহ ১৯ জনকে আসামি করে ২০০৭ সালে মামলা করা হয়েছিল নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায়।
গুমের অভিযোগে দায়ের করা মামলার বাদী রুবেলের মা রহিমা খাতুন। তবে রুবেল ফিরে আসার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
রুবেলের বাবা জানু মিয়া জানান, তার স্ত্রী পাগলাটে মহিলা। অন্যের প্ররোচনায় সে থানায় মামলা করেছে।
সেই মামলায় ৬ থেকে ৭ আসামি জেলও খেটেছেন। বর্তমানে জামিনে রয়েছেন তারা। এর মধ্যে, গত বুধবার রাতে রুবেল বাড়িতে আসে। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মামলার আসামিরা তাকে আটক করে সদর থানায় নিয়ে যায়।
রুবেল জানান, তিনি তার মা রহিমা খাতুনের মারধর ও ক্ষুধার যন্ত্রণায় বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েছিলেন। গত ১৩ বছর বিভিন্নস্থানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। বর্তমানে তিনি মগবাজার মধুবাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন ও রঙ মিস্ত্রির কাজে কর্মরত।
বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার ১০ বছর পর তার সঙ্গে মায়ের যোগাযোগ হয়। তখনও এলাকায় আসতে চাইলে তার মা বলেছিলেন, ‘তোকে এলাকার মানুষ মেরে ফেলবে।’ একপর্যায়ে মাকে না জানিয়েই তের বছর পর গত বুধবার রাতে নিজ বাড়িতে ফিরে আসে সে।
এরপর মামলার আসামিরা বিষয়টি জানতে পেরে তাকে আটক করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় নিয়ে আসে।
মামলার অভিযুক্তরা জানান, মামলার পর থেকে দীর্ঘদিন যাবত তারা পলাতক ছিলেন এবং মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কারাবাসও করতে হয়েছে। বিনা অপরাধে কারাবাস, অর্থ ও সময় নষ্ট যারা করেছে তাদের বিচারের দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ জামান জানান, মামলাটি বেশ কয়েক বছরের পুরোনো। পুলিশ ও ডিবি এর আগে তদন্ত করেছিল। ভিকটিমকে আমরা আদালতের জিম্মায় দিবো এবং আদালতের পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সারাবাংলা/এমও