হামাসের ‘জয়ে’ ফিলিস্তিনজুড়ে আনন্দ মিছিল
২১ মে ২০২১ ১৮:৫৫
মিশরের মধ্যস্থতায় ইসরাইল এবং ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই হওয়ার পর ফিলিস্তিনের সর্বত্র আনন্দ মিছিল হয়েছে।
এর আগে, ১১ দিন ধরে হামলা- পাল্টা হামলা চলার পর; বৃহস্পতিবার (২০ মে) দিবাগত রাত ২টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরপরই গাজা, পূর্ব জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনের বিভিন্ন শহরের মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। এ সময় আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তারা নানান স্লোগান দেয়। আতশবাজিতে আলোকিত হয়ে ওঠে ফিলিস্তিনের আকাশ।
বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, হামাসের নেতারা বিজয় ভাষণ শুরু করেন ঈদের খুতবা দিয়ে। মঞ্চের সামনের দাঁড়িয়ে থাকা জনতাকে ঈদের তাকবির দিতে শোনা যায়।
এদিকে, গাজা উপত্যকা হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা খলিল আল-হাইয়া তার ভাষণের শুরুতেই তাকবির দেন — আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ।
এরপর সমাবেত জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, আজ বিজয়ের ঈদ। সেই রবের প্রতি কৃতজ্ঞতা, যিনি শত্রুদের পরাজিত করে জনগণকে বিজয়ী বানিয়েছেন। আল কুদস-শেখ জাররাসহ সকল মুক্তিমুখী জনগণকে বিজয়ী করেছেন।
এদিকে, গাজায় হামলা বন্ধের পাশাপাশি আল-আকসা মসজিদ ও শেখ জাররাহ এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতির শর্তে ইস্রাইওল-হামাস যুদ্ধবিরতি হয়েছে। এ ব্যাপারে হামাসের পলিটিক্যাল ব্যুরো প্রধানের গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টা তাহের আল-নুনু গাজায় সাংবাদিকদের বলেছেন, তেল আবিব যতক্ষণ পর্যন্ত শর্ত মেনে চলবে ততক্ষণ পর্যন্ত হামাসও যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন করবে।
প্রসঙ্গত, ৭ মে রমজানের শেষ শুক্রবার বিশ্ব কুদস দিবসে বিপুল পরিমাণ মুসল্লি আল-আকসা মসজিদে সমবেত হলে ইসরাইলি বাহিনী তাদের ওপর হামলা চালায়। মসজিদে ঢুকে মুসল্লিদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছোড়ে। এর দুই দিন পর, পবিত্র শবে কদরেও আল-আকসা মসজিদে ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে মুসল্লিদের সংঘর্ষ হয়। এর প্রতিবাদে গাজা সীমান্তে বিক্ষোভ শুরু হয়।
পরে, হামাসের ছোড়া রকেটের জবাবে ১০ মে থেকে গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল। ফিলিস্তিনিরা রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে, নারী-শিশুসহ বেসামরিক প্রাণহানি ঠেকাতে মিশর, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, চেক প্রজাতন্ত্র এবং ফ্রান্সের মতো দেশগুলোর তৎপরতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
সারাবাংলা/একেএম