Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘মশা ধ্বংস না করলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২২ মে ২০২১ ১৫:১৭

ঢাকা: বাসাবাড়ির আশপাশে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস না করলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এজন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

শনিবার (২২ মে) রাজধানীর মিরপুরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) আয়োজনে এডিস মশা এবং ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া সচেতনতা অভিযান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

এ সময় তাজুল ইসলাম বলেন, এডিস মসার প্রজনন যাতে না হয় সেজন্য বাসা-বাড়ি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে নগরবাসিকে সচেতন ও সর্তক করা হয়েছে। এরপরও কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে বাসাবাড়ি এবং এর আশপাশে পানি জমিয়ে রেখে এডিস মশার প্রজননে ভূমিকা রাখলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের পক্ষে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মশা নিধন করা কঠিন। তাই মাঠে ময়দানে প্রচারণা চালিয়ে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। একজন মানুষের গাফলতির কারণে পুরো সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে না। আর এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই মশার প্রজননস্থল ধ্বংস না করলে দুই সিটি করপোরেশন থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, দুই সিটি করপোরেশকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে ১০ জন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগে দেওয়া হয়েছে। তাদের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।

এ প্রসঙ্গে এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, মশার এই উপদ্রব থেকে আমাদেরকে রক্ষা করতে পারে জনসচেতনতা। এরই অংশ হিসেবে আমরা আজকের এই প্রচারণা চালাচ্ছি। এডিস মশা কমাতে হলে জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া সম্ভব না। সকল মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করলে এই এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে না। এডিস মশার প্রজনন বন্ধে সকলের অংশগ্রহণের আহবান জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

 

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি হলে ছাদে পানি জমে, ফুলের টবে পানি জমে, টায়ার ও টিউবে পানি জমে। এসব পরিষ্কার পানি ছাড়াও নির্মাণাধীন বাসাবাড়ি, বেজমেন্ট ও পরিত্যক্ত জায়গায় জমানো পানিতে এই মশা জন্ম নেয়। তাই বাড়ির আঙিনাসহ আশেপাশে আসবাবপত্রের মধ্যে যাতে পানি জমে না থাকে সে জন্য সতর্ক থাকতে হবে। এটা যত দ্রুত পরিষ্কার করতে পারবো তত তাড়াতাড়ি এডিস মশার প্রজনন ধ্বংস হবে ।

তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে আইইডিসিআর পরবর্তী বছরে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যার তিনগুণ হওয়ার পূর্বাভাস দিলেও মন্ত্রণালয়, দুই সিটি করপোরেশ এবং সকল শ্রেণি পেশার মানুষের অংশগ্রহণে সেই পূর্বাভাস মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।

এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি সাব জোনে ভাগ এবং কার্যকর ওষুধ নিয়মিত স্প্রে করার কারণে মশার উপদ্রব যথেষ্ট কমেছে। এক বছরের প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে তার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা যে প্রস্তুতি নিয়েছি তাতেই আমরা সফলতা পেয়েছি।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশনের সমন্বয়ে নগরবাসীকে সঙ্গে নিয়ে এডিস মশাসহ সব ধরনের মশা নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি বলেও উল্লেখ করেন তিনি ।

পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ এবং বেশ কয়েকটি বাসাবাড়ি পরিদর্শন করে এডিস মশার প্রজননস্থল থাকায় স্টিকার লাগিয়ে দেন এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন ।

এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এবং নাট্য অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/ জেআর/এনএস

এডিস মশার প্রজননস্থল দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা মশা ধ্বংস মো. তাজুল ইসলাম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর