পাশে মেঘালয়, বুকে হাওর নিয়ে সম্ভাবনাময় ‘চেংবিল’
২৩ মে ২০২১ ০৮:৫৪
সুনামগঞ্জ: পাশেই হাতছানি দেয় ভারতের মেঘালয় পাহাড়, বুকজুড়ে বয়ে যাচ্ছে হাওর। সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় সলুকাবাদ ইউনিয়নের ‘চেংবিল’ এলাকায় গেলেই দেখা মিলবে এমন সুন্দরের। হাওর, নদী, ও সবুজ পাহাড়ের সৌন্দর্যের মেলবন্ধন ঘটেছে এখানে।
ভৌগলিক দিক থেকে হাওর দেশের অন্য অঞ্চলের চেয়ে একটু আলাদা। এ জেলার মানুষের জীবনযাত্রা ও আর্থসামাজিক পরিস্থিতিও তাই কিছুটা ভিন্ন। বছরের বেশির ভাগ সময় হাওর থাকে জলমগ্ন। তবু হাওর, হাওরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, মাছ, ধান আর বাউল সাধকদের গানেই যেন মিশে আছে সুনামগঞ্জের সুনাম। আর এখন নতুন করে চেংবিলের সৌন্দর্য মুগ্ধতায় নয়ন জুড়ায় পর্যটকদের।
থৈ থৈ জলের ওপর তখন ছোট ছোট গ্রামগুলো ভাসে দ্বীপের মতো। আবার শুকনা মৌসুমে মাইলের পর মাইল পায়ে হাঁটাপথ। মানুষের যোগাযোগ-যাতায়াত এখানে কিছুটা কঠিন। এই কঠিন যোগাযোগের বিষয়টি ধরা আছে এলাকার প্রাচীন প্রবাদে, ‘বর্ষায় নাও, আর হেমন্তে পাও’।
তবে এখন যোগাযোগসহ সার্বিক ভাবে পরিস্থিতি অনেক বদলেছে। মানুষের জন্য যোগাযোগ সহজ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে হাওরকেন্দ্রিক পর্যটন সম্ভাবনা বিকাশের।
চেংবিল এলাকার স্থানীয় রহিম মিয়া জানান, সম্প্রতি এই জায়গায় প্রতিনিয়ত বাইরের মানুষদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা ফরিদ মিয়া বলেন, ‘চেংবিল এখনও বছরের বেশির ভাগ সময় জলমগ্ন থাকে। থৈ থৈ জলের ওপর তখন ছোট ছোট গ্রামগুলো ভাসে দ্বীপের মতো। এখন চেংবিল এখন পর্যটন কেন্দ্র, কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব খারাপ তাই এখানকার রাস্তা-ঘাট মেরামত করে দিলে আর পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত হতো।’
বিশম্বরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাদিউর রহিম জাদিদ বলেন, ‘যে জায়গা ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে সেটি ব্যক্তি মালিকানাধীন ছিলো। তিনি এখন জায়গাটি উনি সরাকারকে পর্যটন বিকাশের জন্য দান করেছেন। উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।’ এখানে এসে যেন পর্যটকরা সুন্দর সময় কাটাতে পারেন সে বিষয়টি নিয়েও উপজেলা প্রশাসন ভাবছে বলেও জানান তিনি।
সারাবাংলা/এমও