সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট’ লেখায় আপত্তি
২৩ মে ২০২১ ০৯:২৫
ভারত থেকে বিস্তার লাভ করা করোনাভাইরাসের দ্রুত সংক্রমণক্ষম ধরনটিকে ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ায় আপত্তি জানিয়েছে দেশটির সরকার। যে সকল সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট’ কথাটি থাকবে, সেগুলো মুছে দিতে দিল্লির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি ও রয়টার্স।
শুক্রবার (২১ মে) ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, দেড় বছর আগে মানুষে সংক্রমিত হওয়া শুরু করার পর নভেল করোনাভাইরাস রূপ বদল করে চলছে। এর মধ্যে ভারতে এর যে পরিবর্তিত রূপ শনাক্ত হয়েছে, তার আনুষ্ঠানিক নাম বি.১.৬১৭ হলেও এটি ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট’ নামেই পরিচিতি পেয়েছে।
গণমাধ্যম থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও তাই বলে আসছিলেন। এর আগে যুক্তরাজ্যের, ব্রাজিলের ও দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনগুলোও ‘ইউকে ভ্যারিয়েন্ট’ ‘ব্রাজিল ভ্যারিয়েন্ট’ ও ‘সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট’ নামেই পরিচিতি পায়।
ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ৫০ দেশে পৌঁছেছে; বাংলাদেশেও করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ওই ধরন শনাক্ত হয়েছে। দ্রুত সংক্রমণক্ষম এই ধরনটিকে বিশ্বজুড়ে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
১১ মে ডব্লিউএইচওর বক্তব্য আসার পর ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সে দেশের গণমাধ্যমগুলোকে ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট’ বলার ব্যাপারে নিষেধ করা হয়েছিল। এখন সোশ্যাল মিডিয়া থেকেও এই শব্দটি বাদ দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার।
ভারতের সরকারি চিঠিতে বলা হয়েছে, এটা সম্পূর্ণ ভুয়া; কোভিড-১৯ এর বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত এমন কোনো ধরনই নেই। ডব্লিউএইচও ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বলে কিছু কখনও বলেনি। তারা বলেছে বি.১.৬১৭।
এ ব্যাপারে নয়াদিল্লির উচ্চ পদস্থ এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, সোশাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষগুলোকে সোজাসাপ্টাভাবেই বলে দেওয়া হয়েছে। কেননা এতে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হচ্ছে, ভারতের ভাবমূর্তিও ক্ষুন্ন হচ্ছে।
অন্যদিকে, একটি সোশ্যাল মিডিয়ার নির্বাহী কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ভারত সরকার যা করতে বলেছে, তা খুব কঠিন। কারণ এমন কনটেন্ট কোটি কোটি হতে পারে।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে ভারত, সেজন্য দেশটির সরকার সমালোচনায়ও পড়েছে। মহামারি পরিস্থিতি নিয়ে ভারত সরকারের সমালোচনামূলক কিছু পোস্ট সরিয়ে ফেলতে এর আগের মাসে টুইটার ও ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে মোদি সরকার বলেছিল বলে বিবিসি জানিয়েছে।
সারাবাংলা/একেএম