।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
ঢাকা: যুক্তরাজ্যে সাবেক রুশ গুপ্তচর ও তার মেয়েকে নার্ভ এজেন্ট প্রয়োগে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাশিয়ার ৬০ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে সিয়াটলে রাশিয়ার কনস্যুলেটও বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও এর বাইরের কয়েকটি দেশ ৫৬ জন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে। এত বিপুল সংখ্যক কূটনীতিক বহিষ্কারের ঘটনা ইতিহাসে নজিরবিহীন।
সোমবার রাশিয়ার এসব কূটনীতিককে বহিষ্কারের ঘোষণা আসে বলে এএফপি ও বিবিসিসহ আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
নার্ভ এজেন্ট প্রয়োগের ঘটনায় রাশিয়ার অনাকাঙ্খিত আচরণের প্রেক্ষিতে, যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মিত্রদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করল যুক্তরাষ্ট্র।
ওয়াশিংটন ৬০ জন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কারের ঘোষণা দেওয়ায় এক সপ্তাহর ব্যবধানে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ভিন্ন দিকে মোড় নিল। এক সপ্তাহ আগে ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তাকে স্বাগত জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়ার বিষয়ে শুরু থেকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নমনীয় মনোভাব পোষণ করে আসছেন। তবে এবারও কঠোর কোনো পদক্ষেপ নেননি ট্রাম্প।
২১টি দেশ রাশিয়ার অন্তত একশ’ ১৪ জন কূটনীতিককে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে। এটাকে কূটনীতিক বহিষ্কার বিষয়ক এক ধরনের শীতলযুদ্ধ বলা হচ্ছে। এটি ব্রিটেনের জন্য একটা বড় বিজয় বলেও মনে করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি আরও যেসব দেশ রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে সেগুলো হল: ইউক্রেন ১৩ জন, পোল্যান্ড ৪ জন, কানাডা ৪ জন, ফ্রান্স ৪ জন, জার্মানি ৪ জন, চেক প্রজাতন্ত্র ৪ জন, লিথুনিয়া ৩ জন, ইতালি ২ জন, ডেনমার্ক ২ জন, নেদ্যারল্যান্ড ২ জন, এস্তোনিয়া ১ জন, লাটভিয়া ১ জন, ক্রোয়েশিয়া ১ জন, ফিনল্যান্ড ১, রোমানিয়া ১ জন, সুইডেন ১ জন, ও স্পেন ২ জন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে। স্ক্রিপল ও তার মেয়েকে নার্ভ এজেন্ট দিয়ে হত্যাচেষ্টার পর, যুরাজ্যের আহ্বানে সাড়া দিল দেশগুলো।
তবে রাশিয়া শুরু থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নার্ভ এজেন্ট প্রয়োগ এর ঘটনা সম্ভবত প্রথম।
সারাবাংলা/ আইএ