Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মুজিববর্ষে আরও এক গুচ্ছ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৩ মে ২০২১ ১৫:১৫

ঢাকা: দুর্যোগের ঝুঁকি কমানোসহ নদ-নদী ভাঙন রোধে দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ করা ১৭৫টি স্থাপনার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে দুর্যোগ ঝুঁকি কমানোর জন্য আরও ৫০টি স্থাপনার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।

রোববার (২৩ মে) সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এসব স্থাপনা ও ভিত্তিপ্রস্তরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এসব স্থাপনার মধ্যে রয়েছে ১১০টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, ৩০টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, ৩০টি জেলা ত্রাণ ও গুদাম কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্যকেন্দ্র এবং পাঁচটি মুজিব কিল্লা। এরবাইরে আরও ৫০টি মুজিব কিল্লার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।

এর আগে এসব স্থাপনার উদ্বোধনের খবর জানিয়ে গতকাল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগের নিয়মিত ক্ষয়ক্ষতি সত্ত্বেও ষাটের দশক পর্যন্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ধারণা ছিল মূলত ত্রাণ ও পুনর্বাসন সংক্রান্ত। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মানেই ছিল দুর্যোগ পরবর্তী পদক্ষেপ। ১৯৭০ সালে এ ভূখণ্ডে ঘটে যাওয়া ইতিহাসের অন্যতম মর্মান্তিক ঘূর্ণিঝড়ে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ মারা যায়। ওই সময় দুর্যোগে ক্লিষ্ট বাঙালিদের প্রতি পাকিস্তানি শাসকদের বৈষম্যমূলক মনোভাব জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মর্মাহত করে। তিনি সত্তরের সেই ঐতিহাসিক নিরর্বাচনের প্রচার কাজ ফেলেও দুর্গত-অবহেলিত মানুষের মাঝে ছুটে যান। তখনই তিনি দুর্যোগের পূর্বপ্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থার গুরুত্ব অনুভব করেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ধারণার প্যারাডাইম শিফটের সূচনা মূলত সেখানেই।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, দুর্যোগে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে দুর্যোগ সহনীয় টেকসই নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় পরিকল্পিতভাবে কাঠামোগত ও অকাঠামোগত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা থেকে মানুষের জানমাল রক্ষায় মাটির কিল্লা নির্মাণ করা হয়, যা সর্বসাধারণের কাছে মুজিব কিল্লা নামে পরিচিত। এরই আধুনিক রূপ হিসেবে উপকূলীয় ও বন্যা উপদ্রুত ১৪৮টি উপজেলায় ৫৫০টি মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান। উপকূলীয় দুর্গত জনগণ যেমন সেখানে আশ্রয় নিতে পারবে, তেমনি তাদের প্রাণিসম্পদকে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারবে । এছাড়া জনসাধারণের খেলার মাঠ, সামাজিক অনুষ্ঠান ও হাট-বাজার হিসেবেও এটি ব্যবহার করা যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুর্যোগকালীন ঘূর্ণিঝড় প্রবণ উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ত পানি পরিশোধনে ৩০টি মাউন্টেড স্যালাইন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। সমন্বিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কারণে এসব কর্মসূচির মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বিপদাপন্নতা অনেকাংশে কমিয়ে আনা সহজ হয়েছে।

সারাবাংলা/জেআর/এএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিব কিল্লা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর