সীমান্ত বন্ধে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব
২৪ মে ২০২১ ১৪:১৯
বেনাপোল: ভারতে করোনা পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়ায় দেশটির সঙ্গে স্থলপথে সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ আগামী ৩১মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এদিকে বেনাপোলের বিপরীতে ভারতের ২৪ পরগনায় করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুহার প্রতিদিন বাড়ছে। ফলে পরিস্থিতি উন্নতির লক্ষ্যে চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে ৩০মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। ফলে সীমান্ত দিয়ে দুইদেশে যাত্রী যাতায়াত বন্ধ রয়েছে।
তবে বাণিজ্যের স্বার্থে বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি চালু রয়েছে। তারপরও দিন দিন কমে যাচ্ছে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য। ফলে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানিতে মারাত্মক বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা বলেন, আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু করোনার কারণে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ নানা প্রতিবন্ধকতায় বাণিজ্য কমে আসছে। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৪০০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য ভারত থেকে আমদানি এবং ১৫০ ট্রাক পণ্য ভারতে রফতানি হতো। বর্তমানে বাণিজ্যের পরিমাণ কমেছে।
ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র বলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় ১৫ দিনের লকডাউন চলছে। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ট্রেন-বাস, অফিস বন্ধ রয়েছে। ফলে পণ্য সরবরাহ কমায় আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বিঘ্ন হচ্ছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, ভারতের সঙ্গে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং দুই দেশে চলমান লকডাউনের মধ্যে সরকারের নির্দেশনায় বন্দরে আমদানি-রফতানি সচল রয়েছে। তবে আমদানি রফতানি বাণিজ্য কমে আসছে।
সারাবাংলা/এসএসএ