চাঁপাইনবাবগঞ্জ: জেলাজুড়ে সাত দিনের কঠোর লকডাউন জারি করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মঞ্জুরুল হাফিজ। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলাটিতে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা হঠাৎ করে বৃদ্ধি পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। আগামীকাল মঙ্গলবার (২৫ মে) থেকে তা কার্যক্রর হবে।
সোমবার (২৪ মে) বেলা ১২টার দিকে শহরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ডিসি মঞ্জুরুল হাফিজ এ ঘোষণা দেন।
জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ জনের করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬ জনই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার। এমনকি এক সপ্তাহে জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ৫০ শতাংশের বেশি। এছাড়াও দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশ করছে ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা। তাই ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণের আশঙ্কা ও ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের হার কমাতে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৫ মে) থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাত দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। কঠোর লকডাউনের আওতায় জেলায় প্রবেশ ও চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
এ সময় মঞ্জুরুল হাফিজ জানান, আজ (সোমবার) দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে আগামী রোববার (৩০ মে) পর্যন্ত জরুরি পরিষেবা বাদে পুরো জেলা সাত দিনের কঠোর লকডাউন থাকবে। কঠোর লকডাউনে সকল প্রকার যাববহন বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি পরিষেবা— অ্যাম্বুলেন্স ও পণ্যবাহী ট্রাক চালু থাকবে। আগামী সাত দিনে বাইরের জেলা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে কোনো পরিবহন ঢুকতে পারবে না এবং জেলা হতে অন্য কোথাও যেতে পারবে না। অর্থাৎ আন্তঃজেলা পরিবহন বন্ধ থাকবে।
তিনি আরও বলেন, লকডাউন চলাকালীন সময়ে সকল প্রকার দোকানপাট ও সাপ্তাহিক হাট বন্ধ থাকবে। তবে কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও ফার্মেসির দোকান খোলা থাকবে। কেউ জরুরি প্রয়োজনে বাইরে গেলে অব্যশই মাস্ক পরিধান করে যেতে হবে। এমনকি জুম্মাসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে ২০ জনের বেশি অংশ নিতে পারবে না।
আম বাজারজাতকরণ ও পরিবহনের বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, আমের আড়তের পরিধি বাড়াতে হবে। তবে সরাসরি বাগান থেকে ট্রাকে আম পরিবহন করা যাবে। এছাড়াও অনলাইনে অর্ডার গ্রহণ করে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আম ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। এছাড়াও শিল্প কলকারখানার শ্রমিকরা নিজস্ব পরিবহনে যাতায়াত করবে। এছাড়া জরুরি পরিষেবা যেমন— কৃষি উপকরণ, খাদ্যশস্য পরিবহন, করোনার ভ্যাকসিন, ত্রাণ বিতরণ, বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মী, ইন্টারনেট লাইন সংযোগ সংশ্লিষ্টরা লকডাউনের আওতার বাইরে থাকবেন।
