‘তথ্য সংগ্রহ সাংবাদিকের অধিকার’
২৪ মে ২০২১ ১৯:১১
তথ্য সংগ্রহ সাংবাদিকের অধিকার। একজন সাংবাদিক যেকোনো সোর্স থেকে সংবাদ সংগ্রহ করতে পারেন। একজন সাংবাদিক কার মাধ্যমে, কিভাবে এবং কোন আইনে সংবাদ সংগ্রহ করেছেন, সেটি তিনি বলতে বাধ্য নন। কারণ একজন সাংবাদিকের কাজই হচ্ছে সংবাদ সংগ্রহ করে জনগণের সামনে নিয়ে আসা। আর এর মাধ্যমে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ পেলে সরকারি কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বাড়বে, জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে, দুর্নীতি কমবে এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে।
সারাবাংলা ডটনেট আয়োজিত আইন বিষয়ক নিয়মিত ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠান ‘সারাবাংলা লিগ্যাল চেম্বারস’ অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে আইন বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। ‘সাংবাদিকতা, তথ্য অধিকার এবং দ্য অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ শিরোনামের এই পর্বের আলোচনায় আইন বিশেষজ্ঞরা সাংবাদিকতা ও এ সংশ্লিষ্ট আইন এবং প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মামলা নিয়ে আলোচনা করেন।
ব্যারিস্টার ইফ্ফাত গিয়াস আরেফিনের পরিকল্পনা ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহ মনজুরুল হক এবং বিশেষ আলোচক ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার মো. শফিকুল ইসলাম।
আলোচনায় প্রধান আলোচক অ্যাডভোকেট শাহ মনজুরুল হক বলেন, একজন সাংবাদিক একটি প্রতিষ্ঠান থেকে সংবাদ সংগ্রহের সময় সোর্স ব্যবহার করে থাকেন। সেই সোর্সের মাধ্যমে সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহ করেন। আমরা যদি সুনির্দিষ্টভাবে বর্তমানে আলোচিত রোজিনা ইসলামের মামলার বিষয়ে বলি, তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিয়ে বেশকিছু সংবাদ করেছেন। আরও অনেক পত্রিকাই এই মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে, তবে তার সংবাদগুলো বেশি আলোচিত হয়েছে।
তিনি বলেন, সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম এর আগে যে সংবাদ করেছেন, সেগুলোর তথ্যও তিনি সোর্সের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু সেগুলো নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। সাংবাদিকরা অভিযোগ করছেন, এর আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিয়ে সংবাদ করার কারণেই রোজিনা ইসলামকে ফাঁদে ফেলা হয়েছে। সেটি ঘটেছে কি না, তা তথ্যপ্রমাণ ছাড়া বলা যাবে না। তবে তিনি যে সচিববালয়ে একটি অপ্রীতিকর অবস্থায় পড়েছিলেন, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। বিষয়টি নিয়ে আমাদের মন্ত্রী মহোদয়রাও কথা বলেছেন। সবাই কিন্তু দুর্নীতি উদ্ঘাটনের বিষয়ে সাংবাদিকদের পক্ষেই বলেছেন এবং রোজিনা ইসলামের পক্ষেই বলেছেন। সবাই এটাকে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বলেছেন। আমিও বলব, ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত, সরকারের জন্য বিব্রতকর।
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে মন্ত্রণালয়ে দীর্ঘ সময় আটকে রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে এক দর্শকের প্রশ্নের জবাবে অ্যাডভোকেট শাহ মনজুরুল বলেন, এটি কোনোভাবেই উচিত হয়নি, এটি অমানবিক হয়েছে। আমরা অনেক ভিডিও ফুটেজ দেখতে পাচ্ছি যেখানে রোজিনা ইসলামের গলায় হাত দিতে দেখা গেছে। এগুলো আসলে কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। যারা এর সঙ্গে জড়িত, আমি মনে করি তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা উচিত।
তিনির আরও বলেন, এই প্রশ্নের সূত্র ধরে আরও কয়েকটি বিষয় আলোচনায় আনতে চাই। রোজিনা ইসলামকে যখন থানায় নিয়ে যাওয়া হলো, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তার নিজের ক্ষমতাতেই তাকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ড দিয়ে জামিন দিতে পারতেন। উনি নারী, অসুস্থ এবং তার শিশু সন্তান আছে— ফলে তিনি থানা থেকেই জামিন পেতে পারতেন। আদালতেরও তাকে জামিন দেওয়ার যথেষ্ট সুযোগ ছিল। কিন্তু আদালত আদেশ পেন্ডিং রেখেছেন। এখানে একটি বিষয় বলতে চাই— ব্যুরোক্রেসি (আমলাতন্ত্র) জন্মের পর থেকেই শক্তি প্রদর্শন করতে চায়, শক্তি প্রদর্শন করে আসছে। অন্যদিকে সাংবাদিকরা কিন্তু ফোর্থ স্টেট। গণতান্ত্রিক একটি সমাজ ও রাষ্ট্রে তাদের ভূমিকাও অনস্বীকার্য। তারা সত্য প্রকাশ না করলে সরকার স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতার মধ্যে আসবে না। সাংবাদিকতা ও আদালত— এই দুইটি বিষয়কেই কিন্তু প্রশাসন ও সরকার ভয় পায়। ফলে স্বাধীন সাংবাদিকতা চর্চার জায়গা তৈরি করতে হবে। তাহলে সরকারের কর্মকাণ্ডে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।
আলোচনায় ব্যারিস্টার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, দেশের স্বার্থে অনেক সময় অনেক সংবাদ সংগ্রহ করতে হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধেও দেশের স্বার্থে স্পায়িং’য়ের মাধ্যমে অনেক সংবাদ সংগ্রহ করতে হয়েছে। এখন যদিও সেরকম অবস্থা না, তারপরও দেশ বা জনগণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয় যদি হয় এবং সেটি প্রকাশযোগ্য সংবাদ হয়, তাহলে সেটি প্রকাশ করতে না দেওয়াটা কিন্তু গ্রহণযোগ্য নয়। যেটি প্রকাশযোগ্য, সেটা প্রকাশ করতে হবে, প্রকাশ করতে দিতে হবে।
তিনি বলেন, সাংবাদিকতা পেশায় যারা আছেন, তাদের জন্যও কিছু আইন রয়েছে। তারাও অবশ্যই আইনের মাধ্যমে নিজেদের পেশাগত কাজ করবেন। তথ্য পাওয়ার জন্য তথ্য অধিকার আইনে কিছু প্রক্রিয়ার উল্লেখ আছে। এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে প্রকাশযোগ্য তথ্য দিতে কর্তৃপক্ষ বাধ্য।
জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় হলে যেকোনো উপায়েই সংবাদ সংগ্রহ করা যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন অ্যাডভোকেট শাহ মনজুরুল। তিনি বলেন, সাংবাদিকরা যখন দেখেন যে কোথাও কোনো নিউজ আছে, তখন কিন্তু তাদের কাছে সংবাদ সংগ্রহই মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়। সাংবাদিক যে কেবল সোর্সের ওপর নির্ভর করেই সংবাদ সংগ্রহ করবেন, বিষয়টি এমনও নয়। তিনি যেকোনোভাবেই এই সংবাদ সংগ্রহ করে জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন। এটি কোনো অপরাধও নয়।
বক্তারা আরও বলেন, তথ্য অধিকার আইনে অনেক ক্ষেত্রেই তথ্য পেতে দীর্ঘ সময় লেগে যেতে পারে। ফলে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সবসময় তথ্য অধিকার আইনের ওপর নির্ভর করে বসে থাকলে চলে না। কারণ যে বিষয়টি নিয়ে তিনি অনুসন্ধান করছেন, সেটি চলমান কোনো ঘটনাভিত্তিক হলে ওই আইনের আওতায় তথ্য পেতে হয়তো তার দীর্ঘ সময় লেগে যেতে পারে। ফলে তিনি বিকল্প পদ্ধতিতেও অনুসন্ধান চালাবেন, বিকল্প সোর্স ব্যবহার করেও তথ্য সংগ্রহ করবেন। এই তথ্য দেশের সার্বভৌমত্ব, দেশের অখণ্ডতা, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকির কারণ না হলে যেকোনো উপায়েই সাংবাদিকের জন্য তথ্য সংগ্রহে কোনো বাধা নেই। সাংবাদিকের তথ্যের উৎস প্রকাশেরও বাধ্যবাধকতা নেই।
তথ্য অধিকার আইনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে অ্যাডভোকেট শাহ মনজুরুল হক বলেন, এটি ২০০৯ সালের ২০ নম্বর আইন। এই আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য বিষয়ে বলা হয়েছে, ‘তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিতকরণের নিমিত্ত বিধান করিবার লক্ষ্যে প্রণীত আইন’। আইনটি প্রণয়নের প্রেক্ষাপট হিসেবে বলা হয়েছে— সংবিধানে চিন্তা, বিবেক ও বাকস্বাধীনতা নাগরিকদের অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত এবং তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার চিন্তা, বিবেক ও বাকস্বাধীনতার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ; জনগণ প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার মালিক ও জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক; এবং জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা হলে সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং সরকারি ও বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত বেসরকারি সংস্থার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে, দুর্নীতি কমবে ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হইবে। এসব কারণেই তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
এই আইনের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া তুলে ধরেন অ্যাডভোকেট শাহ মনজুরুল। তিনি বলেন, কোন তথ্য কত দিনের মধ্যে, কত ঘণ্টার মধ্যে সাংবাদিক পাবেন, কোন বিষয়ে তথ্য পাবেন কিংবা কোন বিষয়ে পাবেন না, তার দীর্ঘ একটি তালিকা এই আইনে রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সেসব বিষয়েই তথ্য প্রকাশে বা তথ্য দিতে কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করা হয়নি যেসব তথ্যের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, রাষ্ট্রের অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব— এই বিষয়গুলোর বিঘ্ন ঘটে।
রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ১৯২৩-এর দুইটি ধারায় অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছে। এটির যৌক্তিকতা নিয়ে দর্শকরা প্রশ্ন তুললে সে প্রসঙ্গে অ্যাডভোকেট শাহ মনজুরুল হক বলেন, সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট ১৯৭৪ আছে। এই আইনেরই অধীনে ১৯৯৩ সালে প্রণীত ও ২০০২ সালে সংশোধিত ‘বাংলাদেশের সংবাদপত্র, সংবাদ সংস্থা ও সাংবাদিকদের জন্য অনুসরণীয় আচরণবিধি’ শীর্ষক একটি বিধিমালা আছে। এগুলোর পাশাপাশি তথ্য অধিকার আইনও আছে। অনেকেই বলছেন, এসব আইন থাকার কারণে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টটি এখন আর বলবৎ হবে না। বিষয়টি তেমন নয়। আইনটি বাতিল করা না হওয়া পর্যন্ত আইনটি বলবৎ থাকবে। প্রশ্ন হতে পারে, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আইনটি প্রয়োগ যৌক্তিক হবে কি না কিংবা তাদের বিরুদ্ধে এই আইনটি ব্যবহার করা সমীচীন হবে কি না।
অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টকে অনেকে ঔপনিবেশিক আইন বলে অভিহিত করছেন। এ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, অনেকেই বলছেন, অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট শত বছরের পুরনো আইন। হ্যাঁ, এটি শত বছরের পুরনো আইন। কিন্তু এর চেয়ে পুরনো আইনও তো আছে। যেমন— ফৌজদারি কার্যবিধি, যেটি দিয়ে আমাদের এখানকার ফৌজদারি সব কার্যক্রম পরিচালিত হয়, সেটি ১৮৯৮ সালের আইন। আবার ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রে দণ্ড বা সাজা নির্ধারণের ক্ষেত্রে আমরা যে পেনাল কোড বা দণ্ডবিধি ব্যবহার করি, এটি আরও পুরনো আইন। এটি ১৮৬০ সালের আইন। ফলে আইন পুরনো কি না, সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ আইনগুলো নিয়মিত সংশোধনও হচ্ছে। আইনগুলো সঠিকভাবে প্রযোজ্য হচ্ছে কি না, সেটি দেখতে হবে।
তথ্য অধিকার আইন নিয়ে ব্যারিস্টার শফিকুল বলেন, তথ্য অধিকার আইনের ৬ ধারায় কিন্তু কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত তথ্য প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়ই সরকারের পক্ষ থেকে প্রচার ও প্রকাশ করাও হয়ে থাকে। সংবাদকর্মীরা সেখান থেকে সংগ্রহ করে থাকেন। এর বাইরেও সংবাদকর্মীরা কোনো তথ্য চাইলে সেটি প্রকাশযাগ্য হলে কর্তৃপক্ষ সেই তথ্য দিতে বাধ্য। সেই তথ্য যদি দেওয়া না হয়, তাহলে তথ্য কমিশনে এ বিষয়ে অভিযাগ করার সুযোগও আছে।
জনস্বার্থ বিষয়ক তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে তথ্যদাতাকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্যও আইন রয়েছে। আলোচনায় ‘জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ (সুরক্ষা প্রদান) আইন, ২০১১’ শিরোনামের এই আইনটির কথা তুলে ধরেন সঞ্চালক ব্যারিস্টার ইফ্ফাত গিয়াস আরেফিন। তিনি বলেন, অনেক সময়ই জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট সংবেদনশীল তথ্যও যে কেউ প্রকাশ করতে পারেন। তাকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্যই এই আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে। এই আইনকে সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে ‘যুগান্তকরী’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারি অর্থের অনিয়মিত ও অননুমোদিত ব্যয়, সরকারি সম্পদের অব্যবস্থাপনা , সম্পদ বা অর্থ আত্মসাৎ বা অপচয়, ক্ষমতার অপব্যবহার, ফৌজদারি অপরাধ, ঝুঁকিপূর্ণ ও দুর্নীতি বিষয়ক তথ্য জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। এ তথ্যগুলো সাংবাদিকরা সাধারণ জনগণের জন্য তুলে নিয়ে আসবেন। এসব তথ্য যারা দেবেন, তাদের ‘হুইসেল ব্লোয়ার’ বলা হয়। তারা এই আইনের বলে সুরক্ষা পাবেন।
সারাবাংলা/এসএসএ/টিআর
অ্যাডভোকেট শাহ মনজুরুল হক তথ্য অধিকার আইন ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন ব্যারিস্টার মো. শফিকুল ইসলাম সারাবাংলা লিগ্যাল চেম্বার