ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় ৮ নির্দেশনা
২৫ মে ২০২১ ১৩:০৯
ঢাকা: স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসার গতি বাড়ছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের। ইয়াস গত ৬ ঘণ্টা ধরে ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার গতিবেগে এগোচ্ছে বলে মঙ্গলবার (২৫ মে) সকালের বুলেটিনে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিকে ইয়াসকে মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ। এজন্য কন্ট্রোল রুম চালুসহ ৮টি নির্দেশনা দিয়েছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।
চালুকৃত কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বর হলো— ০১৩১৮২৩৪৫৬। এই নম্বরে ফোন দিয়ে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের বিষয়ে যেকোনো তথ্য সংগ্রহ বা জানানো যাবে। সোমবার (২৪ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। খবর বাসাস।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৩ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় দিক নির্দেশনা প্রদানে মন্ত্রণালয়ে সভাকক্ষে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত মতে, ইয়াসের পর্যবেক্ষণ ও তথ্য সংগ্রহে কন্ট্রোল রুম চালু করেছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ।
আরও পড়ুন: ১০ কিলোমিটার গতিতে এগোচ্ছে ইয়াস, প্রতিমুহূর্তেই বাড়ছে গতিবেগ
এক্ষেত্রে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৮টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা মতে— মঙ্গলবারের মধ্যে উপকূলাঞ্চলের বাঁধসহ সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন করে মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট প্রেরণ করতে হবে। প্রয়োজনীয় বালু-জিও ব্যাগ ও জরুরি শ্রমিকের ব্যবস্থা রাখতে হবে। বিতরণের জন্য মাস্ক, খাবার স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট রাখতে হবে। সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলার ৮টি পোল্ডার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকতে হবে। লোকজন সরিয়ে নিতে প্রয়োজনমতো নৌযান ব্যবস্থা থাকতে হবে। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে উপস্থিত থাকতে হবে। কোথাও ক্ষয়ক্ষতির খবর পেলে জেলা প্রশাসক ও জেলা পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটিকে অবহিত করতে হবে। মাঠ পর্যায় কর্মকর্তাগণ ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বরত কর্মকর্তাগণ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জনগণ এবং মিডিয়ার সঙ্গে সমন্বয় করে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে কাজ করতে হবে।
এ বিষয়ে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ইয়াস’সহ যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে বরিশাল ও খুলনা এলাকায় লক্ষাধিক জিও ব্যাগ মজুদ রয়েছে। মাঠ পর্যায়ে প্রকৌশলীগণ আঞ্চলিক তথ্যকেন্দ্র খোলাসহ জীবন-সম্পদ রক্ষায় সতর্কভাবে কাজ করছে।
সারাবাংলা/এনএস