দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২৫ মে ২০২১ ১৫:১৯
ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বাংলাদেশেও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে বলে জানতে পেরেছি। আমাদের এখন থেকেই সাবধান হতে হবে। ভয় কিংবা আতঙ্কের কিছু নেই।
মঙ্গলবার (২৫ মে) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে চীনের সিনোফার্মের ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, যারা বয়স্ক, যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে, তাদের এই বিষয়ে বেশি সতর্ক হতে হবে।
তিনি বলেন, আমি ইতোমধ্যে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানিকে নির্দেশনা দিয়েছি, যেন এই ফাঙ্গাসের জন্য যে ধরনের ওষুধ প্রয়োজন, সেটা এখন থেকেই যেন তৈরি করে। আল্লাহ না করুক যদি এখানে রোগী বাড়ে, তাহলে যেন যথাযথ চিকিৎসা করা যায়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যে ১৫ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন সংকট আছে, সেটা ৪ মাস পরেও নেওয়া যাবে। আমাদের আগে এখানে ২ মাস সময় ছিল; আরও ২ মাস সময় নিয়ে যারা দ্বিতীয় ডোজ পায়নি তাদের আমরা দিতে পারব। এই লক্ষ্যে সরকার যত রকমের চেষ্টা দরকার তা করে যাচ্ছে। ভারত ছাড়াও যেখানে এই ভ্যাকসিন পাওয়া যায় সেখান থেকে আনার জন্য সবাই মিলে চেষ্টা করছে। আমরা আশা করছি ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা আমরা করতে পারব।
চীন ও রাশিয়া থেকে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকতা প্রায় শেষের দিকে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, শুরু থেকে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। মাঝে দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলেও লকডাউনে তা নিয়ন্ত্রণ করা গেছে।
তিনি আরও বলেন, একটি দেশে বারবার লকডাউন দেওয়া সম্ভব নয়। অর্থনীতি নষ্ট হয়ে যায়, সামাজিক-রাজনৈতিক সমস্যা সৃষ্টি হয়। এ কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার খুরশীদ আলম বলেন, আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রাখতে চাই। শুধু সরকারি মেডিক্যালের শিক্ষার্থী নয়, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীদেরও এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, রাজধানীর চারটি মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে চীনের ভ্যাকসিন। বাকি তিন প্রতিষ্ঠান হলো—শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও মুগদা মেডিক্যাল কলেজ।
এ ছাড়া আগামী ১০ দিনের মধ্যে সারা দেশে সরকারি কলেজে, হাসপাতালে এই ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে বলে জানান অধ্যাপক খুরশিদ আলম।
তিনি বলেন, করোনার কারণে মেডিক্যাল কলেজের অনেকগুলো পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এমন অবস্থা চলতে থাকলে সামনে চিকিৎসক সংকটে পড়বে দেশ। যে কারণে মেডিক্যাল পরীক্ষাগুলো কিভাবে নেওয়া যায় সেটাও ভাবছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এ দিন সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী সমতাকে ভ্যাকসিন দেওয়ার মাধ্যমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এই হাসপাতালে আজ ২৫৭ শিক্ষার্থীকে চীনের তৈরি ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটো মিয়া, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব এম এ আজিজসহ অন্যান্যরা।
সারাবাংলা/এসবি/এসএসএ