পানি বেড়েছে সুন্দরবন সংলগ্ন নদীগুলোতে, ঝুঁকিতে বেড়িবাঁধ
২৫ মে ২০২১ ১৮:১৭
সাতক্ষীরা: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর প্রভাবে সাতক্ষীরায় ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে মাঝে মাঝে বৃষ্টি হচ্ছে। সুন্দরবন সংলগ্ন নদীগুলোতে জোয়ারের পানি বাড়ছে। কয়েক জায়গায় বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বালুর বস্তা দিয়ে তা বন্ধের জন্য প্রাণপন চেষ্টা চালাচ্ছেন।
উপকূলীয় এলাকা আশাশুনির প্রতাপনগর, শ্রীউলা, আনুলিয়া, খাজরা এবং শ্যামনগরের পদ্মপুকুর, গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী, আটুলিয়া, কৈখালি, ঈশ্বরীপুর, রমজাননগর, কাশিমারিসহ সুন্দরবন লাগোয়া মুন্সিগঞ্জ হরিনগর এলাকায় মাইকিং করে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার ব্যাপারে জানানো হচ্ছে সতর্ক।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১৪৫টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে শ্যামনগর উপজেলার ১০৩টি আশ্রয়কেন্দ্রের ধারণক্ষমতা ৭৫ হাজার বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুজার গিফারি।
এছাড়াও, জেলায় দেড় হাজার স্কুল-কলেজ-মাদরাসাকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদেরকে খাদ্য এবং স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হবে বলেও জানান ইউএনও।
এদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধগুলি চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার বেড়িবাঁধের ৪০টি পয়েন্ট ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ইতিমধ্যে খোলপেটুয়া নদীর জোয়ারের চাপে সুন্দরবন সংলগ্ন শ্যামনগর উপজেলার দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরার নাপিতখালি, পাশ্বেমারী এবং তিন নম্বর সোরাসহ কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে চিংড়ি ঘের ও বসতি এলাকায় ঢুকতে থাকলে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে বালির বস্তা দিয়ে তা বন্ধের জন্য প্রানপন চেষ্টা চালাচ্ছেন।
পূর্ণিমার ভরা কটাল ও পূর্ণচন্দ্র গ্রহনের সময় ইয়াস আঘাত হানলে জলোচ্ছ্বাসের আশংকা করছেন উপকূলবাসী। সে রকম হলে বেড়িবাঁধগুলো ভেঙ্গে পানিতে সয়লাব হতে পারে উপকূলের জনপদ।
অপরদিকে, পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের বন বিভাগের আট টহল ফাঁড়ির সব সদস্যকে নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে সহকারী বন সংরক্ষক এম এ হাসান সারাবাংলাকে বলেন, ইয়াস আঘাত হানলে এবং অস্বাভাবিক জলোচ্ছ্বাস হলে উদ্ধারকাজের জন্য নৌ যান প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সারাবাংলা/একেএম