Friday 16 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাবেয়া-রোকাইয়ার চিকিৎসা জটিল হলেও আমরা আশাবাদী


২৬ নভেম্বর ২০১৭ ১৪:০০

সারাবাংলা প্রতিবেদক

ঢাকা:
জোড়া মাথার দুই শিশু (কোজয়েন্ড টুইন) রাবেয়া ও রোকাইয়ার চিকিৎসা ব্যবস্থা কিছুটা জটিল হলেও আশাবাদী চিকিৎসকরা। তবে এ ক্ষেত্রে তারা কোনও তাড়াহুড়ো না করে ধীর-স্থিরভাবে আগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রাবেয়া-রোকাইয়ার এমআরআই রিপোর্টেও বেশ কিছু জটিলতা ধরা পড়েছে। আর এ দুই শিশুর বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্ট বিশেষজ্ঞ মতামতের জন্য বিদেশে পাঠানোরও পরিকল্পনা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিজ্ঞাপন

ইতোমধ্যে দুই শিশুর জন্য গঠন করা হয়েছে ১৬ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। তারা প্রায় দুই ঘন্টা যাবৎ রাবেয়া ও রোকাইয়াকে দেখেছেন এবং প্রাথমিকভাবে তাদের মতামত দিয়েছেন। একটি রুটিন কাজের অংশ হিসেবে বর্তমানে দেশে অবস্থান করা হাঙ্গেরির প্লাস্টিক সার্জারি স্পেশালিস্ট চিকিৎসক দলও ছিলেন তাদের সঙ্গে, ছিলেন হাঙ্গেরির অ্যাম্বাসেডর। দেশের খ্যাতনামা নিউরোসার্জন, অর্থোপেডিক সার্জন ও প্লাস্টিক সার্জনদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডে দরকার হলে বিদেশি চিকিৎসকদেরও যুক্ত করা হবে বলে সারাবাংলাকে জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।

বিজ্ঞাপন

গত ২০ নভেম্বর পাবনার চাটমোহর থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাথা জোড়া লাগানো দুই কন্যাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসেন শিশুদুটির বাবা-মা। সেদিনই রাবেয়া রোকায়াকে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
রোববার ডা. সামন্ত লাল সেন মেডিকেল বোর্ড গঠনের কথা জানিয়ে বলেন, চিকিৎসকদের প্রথম অভিমত হচ্ছে, ইটস অ্যা ভেরি ডিফিকাল্ট অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল কেইস, তবে আমরা ধীরে ধীরে অগ্রসব হবো এবং আমরা আশাবাদী। তবে তাদের আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে এবং সেগুলো দেশের বাইরে পাঠানোর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি আমরা। যদি দরকার হয়, তাহলে অন্য দেশ থেকে প্লাস্টিক সার্জন এনে তাদের চিকিৎসা নেওয়া হবে। মোট কথা হচ্ছে, রাবেয়া-রোকাইয়ার জন্য যা কিছু করার প্রয়োজন হয়- আমরা করবো।

রাবেয়া ও রোকাইয়ার চিকিৎসায় গঠন করা মেডিকেল বোর্ডে রয়েছেন ডা. সামন্ত লাল সেন, বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের বর্তমান পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম, অধ্যাপক সাজ্জাদ খোন্দকার, অধ্যাপক রায়হানা আউয়াল, ঢামেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. অসিত চন্দ্র সরকার, শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আশরাফুল হক কাজল ও একই বিভাগের অধ্যাপক ডা. আব্দুল হানিফ টাবলু, নিউরো মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. মনসুর হাবীব, অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের চিকিৎসক জাহাঙ্গীর কবির, রেডিওলোজি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রবিন সরকারসহ অন্যরা।
তবে এ শিশু দু’টির জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডে একজন অ্যান্ডোভাসকুলার নিউরোসার্জনের খুব প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, দেশের একজন অ্যান্ডোভাসকুলার নিউরোসার্জনের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, দরকার হলে বিদেশ থেকেও এ বিষয়ের কোনও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সহয়তা নেবো আমরা। হাঙ্গেরি সরকার আগ্রহ দেখিয়েছে, তাদের দেশ থেকে প্লাস্টিক সার্জন বা অ্যান্ডোভাসকুলার নিউরোসার্জন পাঠাবে এবং তারা খরচ বহন করবে এমনটা আমাদের জানানো হয়েছে।

রাবেয়া রোকাইয়াকে অস্ত্রোপচার করে পৃথক করা আসলেই সম্ভব হবে কি না প্রশ্নে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, পৃথক করা যাবে বলে মনে হয় আমাদের। তবে আমাদের কৌশলী হতে হবে। কারণ তাদের এমআরআই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, কিছু কিছু জিনিস আলাদা আলাদা থাকলেও বেশ কিছু জিনিস আবার একসঙ্গেও রয়েছে। তবে তাদের রিপোর্ট জটিল, আপাতত এটুকু বলা যায়, তারপরও আমরা আশাবাদী।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৭
জেএ/এটি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর