সাতক্ষীরায় পরবর্তী জোয়ার নিয়ে সংশয়, বেড়েছে নদ-নদীর পানি
২৬ মে ২০২১ ১০:৫৬
সাতক্ষীরা: ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকার নদ-নদীর পানি ৩-৪ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। সকাল থেকে ঝড়ো হাওয়ার সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার কয়েকটি স্থানে বেঁড়িবাধের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও সেটি স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে বালি ও মাটির বস্তা দিয়ে তা বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছেন। তবে পরবর্তী জোয়ারে কি হবে তা নিয়ে রয়েছে সংশয়।
উপকূলীয় এলাকা আশাশুনির প্রতাপনগর, শ্রীউলা, আনুলিয়া, খাজরা এবং শ্যামনগরের পদ্মপুকুর, গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী, আটুলিয়া, কৈখালি, ঈশ্বরীপুর, রমজাননগর, কাশিমারিসহ সুন্দরবন লাগোয়া মুন্সিগঞ্জ হরিনগর এলাকায় এখনো পর্যন্ত কাউকে আশ্রয় কেন্দ্রে উঠতে দেখা যায়নি।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় জেলায় ১৪৫ টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র ও ১৫০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া ১৮৩ মেট্রিকটন খাদ্য শস্য মজুদ রাখা হয়েছে। একই সাথে ২ কোটি ৮৮ লাখ ১৫ হাজার নগদ টাকা আর্থিক সহায়তার জন্য রাখা হয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনিতে ৪ হাজার ৮৮ জন সিপিডি স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। রয়েছে পর্যাপ্ত পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট। এদিকে, স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছেন, উপকূলীয় দুই উপজেলায় ৬৫টি মেডিকেল টিম প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।
অপরদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধগুলি চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার বেড়িবাঁধের ৪০টি পয়েন্ট খারাপ অবস্থায় রয়েছে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলে এসব স্থানে কি হবে তা নিয়ে রয়েছে সংশয়।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিখার আলী রিপন জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস দুপুরে দিকে সাতক্ষীরার সুন্দরবন উপকূল অতিক্রম করবে। তখন এটির গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৮০-১০০ কিলোমিটার। তিনি আরও জানান, উপকূলীয় এলাকায় বর্তমানে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত চলছে।
সারাবাংলা/এএম