ঘূর্ণিঝড় ইয়াস: পশ্চিমবঙ্গের ২ জেলায় ৬৬ বাঁধে ভাঙন
২৬ মে ২০২১ ১৪:১৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডবে পশ্চিমবঙ্গের ২ জেলায় বাঁধের ৬৬ স্থানে ভাঙন ধরেছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। খবর এবিপি আনন্দ।
এদিকে, নিজের দফতর থেকে ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন মুখ্যমন্ত্রী। সারারাত নবান্নেই ছিলেন তিনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সেখানেই অবস্থানের ঘোষণা দিয়ে মমতা বলেছেন, অনেকগুলো বাঁধ ইতোমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত। বাংলার অনেকটাই প্লাবিত। ১৫ লক্ষ মানুষকে নিরাপদে সরানো হয়েছে।
এর আগে, বুধবার (২৬ মে) ভারতের স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে উড়িষ্যার বালেশ্বরের দক্ষিণে আঘাত হানে ইয়াস। তখন ঘণ্টায় ১৩০-১৪০ কিলোমিটার ছিল বাতাসের গতি, যা সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ে। ৩ ঘণ্টা ধরে চলে ইয়াসের তাণ্ডব।
পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, কলকাতা সংলগ্ন জেলা হুগলি, নদীয়ায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে।
ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, বিভিন্ন জায়গায় গাছ উপড়ে পড়েছে। বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৫টি বাঁধ ভেঙেছে। পূর্ব মেদিনীপুরে ৫১টি বাঁধ ভেঙেছে।
ভরা কোটালের জন্য বাংলায় ক্ষতি বেশি হবে উল্লেখ করে মমতা বলেন, সরকার নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাবধান থাকতে হবে। সাত-আট ঘণ্টা সতর্ক থাকার বিকল্প নেই।
অন্যদিকে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় ব্লক থেকে জেলা পর্যন্ত সর্বত্র কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সেই কন্ট্রোল রুম থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় নবান্নের কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। ২০ জেলার জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ফোনে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্য ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে যেনো ন্যূনতম প্রাণহানিও না ঘটে তা নিশ্চিত করা। রাজ্যের তিন লক্ষ কর্মী ইয়াস মোকাবিলায় মাঠে রয়েছেন।
সারাবাংলা/একেএম