চট্টগ্রাম ব্যুরো: হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর ব্যক্তিগত সহকারী এনামুল হাসান ফারুকীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে নাশকতার দুই মামলায় পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে পৃথকভাবে এ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
বুধবার (২৬ মে) চট্টগ্রামের অ্যাডিশনাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা ইয়াসমিন পুলিশের আবেদনের উপর শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘নাশকতার একটি মামলায় চারদিনের রিমান্ড শেষে আমরা ফারুকীকে আদালতে হাজির করেছিলাম। আরও দুইটি মামলায় ১০ দিন করে মোট ২০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছিলাম। শুনানি শেষে আদালত এক মামলায় পাঁচ দিন এবং আরেক মামলায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ‘
এর আগে গত ২১ মে রাত ১১টার দিকে হাটহাজারী উপজেলার ফতেয়াবাদ বড় দিঘীর পাড় এলাকা থেকে ফারুকীকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে হাটহাজারীতে হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। ওই মামলায় ২২ মে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মো. এনামুল হাসান ফারুকী (২৪) নোয়াখালী জেলার চাটখীল উপজেলার সানোখীল গ্রামের ওমর ফারুকের ছেলে। হাটহাজারীর আল জামিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদরাসার ছাত্র ফারুকী নিজেকে হেফাজতে ইসলামের আমীর জুনায়েদ বাবুনগরীর ব্যক্তিগত সহকারি হিসেবে পরিচয় দিতেন। হেফাজতের সাংগঠনিক তথ্য বাবুনগরীর পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে সরবরাহ করতেন তিনি। র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বাবুনগরীর প্রধান খাদেম হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ২৬ মার্চ বাংলাদেশে আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদীর আগমনের প্রতিবাদের নামে ২৬ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় আক্রমণ, ভূমি অফিস ও ডাকবাংলোতে আগুন দেওয়াসহ সহিংস তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। তাণ্ডব থামাতে চালানো পুলিশের গুলিতে মারা যায় চারজন হেফাজত কর্মী।
এসব ঘটনায় হাটহাজারী থানায় মোট ৯টি মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় চট্টগ্রামে হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া নোমান ফয়জী, সাবেক শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক হারুন ইজাহার, জামায়াতের সাবেক সাংসদ শাহজাহান চৌধুরীসহ সংগঠনটির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।