Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইয়াস: কুয়াকাটায় সমুদ্রগর্ভে বিলীন শতাধিক দোকান

লোকাল করেসপন্ডেন্ট
২৬ মে ২০২১ ২২:৩২

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী): ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার ভরা কাটলের পূর্ণ জোয়ারে সমুদ্রের পানি বেড়ে পাওয়ায় কলাপাড়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এরই মধ্যে কুয়াকাটা সৈকত এলাকার জাতীয় উদ্যানের শতাধিক গাছ উপড়ে পড়েছে। সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা জোয়ারের পানিতে তলিয়ে আছে। এরই মধ্যে তলিয়ে গেছে, জেলেপল্লী, শুঁটকি মার্কেট, ঝিনুক মার্কেট, ক্যামেরা পট্টি ও শতাধিক দোকান।

শুধু তাই নয়, মারাত্মক ঝুঁকির মুখে রয়েছে কুয়াকাটার ৪৮ নম্বর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মাঝিবাড়ি পয়েন্ট ও পশ্চিম খাজুরা এলাকা। এখানকার বাঁধের বাইরের পাশের ঢালে যে সিমেন্টের ব্লকগুলো ফেলা হয়েছিল, তা পুরোনো হয়ে যাওয়ায় পানির চাপে ধসে পড়ছে। অনেক দিন বেড়িবাঁধের নতুন মাটি ফেলে রাখায় কাজ শেষ না হওয়ায়িএখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ট‍্যুরিস্ট পার্ক, পাবলিক টয়লেটসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক স্থাপনা ও দোকানও রয়েছে ঝুঁকিতে।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দুলাল বলেন, হঠাৎ সমুদ্রের পানি এভাবে যে বাড়বে, আমরা বুঝতে পারিনি। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট বেশি পানি বেশি হওয়ায় এই ক্ষতি হয়েছে।

লতাচাপলী ইউনিয়নের চাপলীবাজার এলাকার বাসিন্দা কামাল হাসান বলেন, ঘের ও পুকুরের রুই, কাতল, সিলভার কার্প, পাঙ্গাস, গলদা চিংড়ি ভেসে গেছে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের জোয়ারের তাণ্ডবে গঙ্গামতি এলাকার পুরো সৈকত ৫ থেকে ৭ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সৈকত-সংলগ্ন গ্রামের দুই শতাধিক পরিবারের ঘরের মেঝেতে পানি উঠে গেছে।

কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, পৌরসভা থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রসহ নিরাপদ স্থানে যাওয়ার বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে। পৌরসভার পক্ষ থেকে আমরা শুকনো খাবারের ব্যবস্থা রেখেছি। যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় কাউন্সিলর মনির শরীফ জানালেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব মোকাবিলায় তারা পৌরসভা থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন। বেড়িবাঁধের বাইরে থাকা সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে এবং সহায়তা করছেন।

জানতে চাইলে কলাপাড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, আমরা কলাপাড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভায় শুকনো খাবার কেনার জন্য ২৫ হাজার করে টাকা, শিশুখাদ্য কেনার জন্য এক লাখ টাকা এবং গো-খাদ্য কেনার জন্য এক লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট ইউপি ও পৌরসভার চেয়ারম্যানদের এই টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রত্যন্ত এলাকায় ঝুঁকিতে থাকা মানুষজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার সব প্রস্তুতিও রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বাড়লে যেকোনো সময় তাদের সরিয়ে নেওয়া হবে।

সারাবাংলা/টিআর

কুয়াকাটা সমুদ্রের জোয়ার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর