Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কক্সবাজারে যুবকের লাশ উদ্ধার, রহস্য উম্মোচনের দাবি সিআইডির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৭ মে ২০২১ ১৩:৫৪

ঢাকা: কক্সবাজারের চকরিয়ায় অপহরণের তিনদিন পর যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)। এরমধ্য দিয়ে কুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনের দাবি করেছে সংস্থাটি।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- হত্যাকারী কায়সার, রহিম ও মোটরসাইকেল ক্রেতা আলমগীর।

বুধবার (২৭ মে) দুপুরে সিআইডি মালিবাগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিআইজি (চট্টগ্রাম জোন) হাবীবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত ১৮ মে রাতে বান্দরবনের লামায় যাবে মর্মে মোবিনের মোটরসাইকেল ভাড়া করে। ওইদিন চারজন মিলে রওনা হয়। আর গত ২১ মে মো. মুবিনের (১৬) অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত যুবক চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামের নুরুল আলমের ছেলে। মুবিন ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। মোটরসাইকেল ভাড়ার কথা বলে এক যুবক গত ১৮ মে রাত ১১টার দিকে মুবিনকে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। পরদিন তাকে না পেয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে খোঁজ নিতে থাকে তার স্বজনরা।

ডিআইজি বলেন, সিআইডি তদন্ত শুরু করলে জানতে পারে ভাড়ায় মোটরসাইকেল নিয়ে লামায় যাচ্ছিল তিন যুবক। কলরেকর্ড ও অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে কায়সার ও রহিমকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা মোবিনকে হত্যার কথা স্বীকার করে। এরপর তাদের দেওয়া তথ্যমতে, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও বিক্রি করা মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। মোটরসাইকেল ক্রেতা আলমগীরকেও গ্রেফতার করা হয়।

হত্যার বর্ণনা দিয়ে ডিআইজি বলেন, কায়সার জানিয়েছে তার বাবা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। ডাক্তার বলে দিয়েছে, তার বাবা বাঁচবেন না। এরপরেও কায়সার টাকা যোগার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ট্রাই করে। বন্ধুদের ঘটনা বললে, তারা মোটরসাইকেল ছিনতাই করে বিক্রি করে টাকা সংগ্রহ করতে বলে। এরপর মোবিনের মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। এর আগেও ওই মোটরসাইকেলে তারা উঠেছিল।

ঘটনার সময় তারা লামায় হলিরকাটা ঝিরির কাছাকাছি গেলে প্রকৃতির ডাকে তারা থামে। এরপর রহিম মোবিনের দুই পা ও আব্দুল্লাহ দুই হাত চেপে ধরে। এ সময় কায়সার ছুরি দিয়ে গলায় আঘাত করে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে পেট ফুটো করে দেয়। এরপর তাকে পাহাড়ের নীচে ফেলে দেয়।

ডিআইজির দাবি, এদের নামে থানায় কোনো মামলা না থাকলেও এলাকায় তারা চুরি, ছিনতাই ও ছোট অপরাধ করতো। তারা কয়েকজন একত্রিত হয়ে সংঘবদ্ধ চক্র তৈরির চেষ্টা করছিল। এদের গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে একটি উঠতি বয়সী অপরাধী চক্রকে নিবারণ করতে সক্ষম হয়েছি।

সারাবাংলা/ইউজে/এএম

কক্সবাজার লাশ উদ্ধার সিআইডি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর