বেড়িবাঁধে ২২ পয়েন্টে ভাঙন; প্লাবিত ৬৫ গ্রাম, ৪ হাজার মাছের ঘের
২৭ মে ২০২১ ১৫:৫১
সাতক্ষীরা: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর প্রভাবে সাতক্ষীরার উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনি’র ১০ ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ এবং মাছের ঘেরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কমপক্ষে ২২ স্থানে উপকূল রক্ষা বাঁধ ভেঙে এবং ৩৪ স্থানে উপচে পড়া জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে ৬৫ গ্রাম, ভেসে গেছে কমপক্ষে সাড়ে চার হাজার মৎস্য ঘের।
জেলা মৎস্য অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে, জেলার আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলায় বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর, গাবুরা, কৈখালী, নুরনগর ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে ৯৫০ হেক্টর জমির দুই হাজার মাছের ঘের ভেসে গেছে। টাকার হিসেবে ক্ষতি পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০ কোটি।
এদিকে, আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর, শ্রীউলা, আশাশুনি সদর, বড়দল ও খাজরা ইউনিয়নের এক হাজার ৪৫০ হেক্টর জমির দুই হাজার ৫৬০ মাছের ঘের ভেসে গেছে। টাকার হিসেবে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে চার কোটি ২৩ লাখ।
এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মশিউর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাস হয়েছে। এতে উপকূলীয় বাঁধ উপচে ও বাঁধ ভেঙে চার হাজার ৫৬০ মাছের ঘের ভেসে গেছে। ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা। ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আম্পানের থেকেও ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বেশি ক্ষতি হয়েছে। ঘেরের মাছগুলো সব বিক্রি উপযোগী হয়ে গিয়েছিল। যার কারণে মাছ চাষীদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।
অন্যদিকে, উপকূলীয় বেড়ি বাঁধ ভেঙে ও পানি উপচে প্লাবিত হয়েছে আশাশুনি উপজেলার হরিখালী, চাকলা, কল্যাণপুর, রুইয়েরবিল, নাকনা, কুড়িকাউনিয়া, বলাবাড়িয়া, মানিকখালী, হাজরাখালী, গদাইপুর, কেয়ারগাতি, কালিগঞ্জ উপজেলার ঘোজাডাঙ্গা, কালিগঞ্জ সদর, বাজারগগ্রাম, নাজিমগঞ্জ, বসন্তপুর, হাড়দ্দহ, দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর, ভাতশালা, চরশ্রীপুর, টাউনশ্রীপুর, সুশীলগাতি, বসন্তপুর, নাংলা ও সখিপুর। শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালীনি, রমজাননগর, নুরনগর ইউনিয়নের ৪০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সব মিলিয়ে জেলায় কমপক্ষে ৬৫ গ্রাম কমবেশি প্লাবিত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, ইয়াসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বেড়িবাঁধের। সাতক্ষীরায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুটি বিভাগ থেকে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। তালিকা পাওয়ার পর সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।
সারাবাংলা/একেএম