অনুমোদন পেল ফাইজারের ভ্যাকসিন
২৭ মে ২০২১ ১৮:৩৩
ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। ১২ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী যে কাউকে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা যাবে। তবে এই ভ্যাকসিন কারা পাবে, সেটি সরকারের ভ্যাকসিন প্রয়োগ পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছে অধিদফতর।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমানের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনের ‘ইমার্জেন্সি ইউজ অথরাইজেশনে’র জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরে আবেদন করে। পরদিন (২৫ মে) অধিদফতর ভ্যাকসিনটির ডোসিয়ার (ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পার্ট, সিএমসি পার্ট ও রেগুলেটরি স্ট্যাটাস) মূল্যায়ন করে এ সংক্রান্ত গঠিত কমিটির মতামতের জন্য উপস্থাপন করে। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর ফাইজার-বায়োএনটেকের এই ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে।
আরও পড়ুন- নিবন্ধিতরাই পাবে ফাইজারের ভ্যাকসিন, দেশে পৌঁছেছে সিরিঞ্জ
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর জানায়, ভ্যাকসিনটির ‘লোকাল লিগ্যাল অরগানাইজেশন’ হিসেবে থাকছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ১২ বছরের বেশি বয়সের মানুষের জন্য এই ভ্যাকসিন ব্যবহারযোগ্য। তবে বাংলাদেশে সরকারের ডেপ্লয়মেন্ট প্ল্যান অনুযায়ী নির্ধারিত বয়সের ব্যক্তিদের মধ্যে ভ্যাকসিনটি দেওয়া হবে।
এর আগে, গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়েছে দেশে। সবশেষ এ সপ্তাহেই চীনের সিনোফার্মের ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিনও প্রয়োগের জরুরি অনুমোদন দিয়ে রেখেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। করোনাভাইরাসের চতুর্থ কোনো ভ্যাকসিন হিসেবে অনুমোদন পেল ফাইজারের এই ভ্যাকসিন।
ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর জানিয়েছে, অক্সফোর্ড ও সিনোফার্মার ভ্যাকসিনের মতো ফাইজারের ভ্যাকসিনটিও নিতে হবে দুই ডোজ। প্রথম ডোজ নেওয়ার তিন থেকে চার সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ করা হবে।
আরও পড়ুন- ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টেও কার্যকর অক্সফোর্ড ও ফাইজারের ভ্যাকসিন
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বৈশ্বিক ভ্যাকসিন জোট গ্যাভি’র বিশ্বব্যাপী ভ্যাকসিন বিতরণের উদ্যোগ কোভ্যাক্সের আওতায় জুন মাসে ফাইজারের এই ভ্যাকসিনের এক লাখ ছয় হাজার ডোজ দেশে আসার কথা রয়েছে। তবে এরই মধে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় সিরিঞ্জ চলে এসেছে দেশে।
এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট। এই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে আশঙ্কা ছিল অনেকেরই। সাম্প্রতিক এক গবেষণার তথ্য বলছে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের পাশাপাশি ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনও এই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকর।
সারাবাংলা/এসবি/টিআর