সিরিয়ায় ৯৫ শতাংশ ভোট পেয়ে ফের বিজয়ী বাশার আল আসাদ
২৮ মে ২০২১ ০৭:৩৭
চতুর্থবারের মতো সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পেলেন বাশার আল আসাদ। গত বুধবার (২৬ মে) দেশটিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৯৫ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে সিরিয়ার পার্লামেন্টের স্পিকার হাম্মউদা সাবাগা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করেন।
স্পিকার হাম্মউদা সাবাগা জানান, এবারের নির্বাচনে ৭৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। বাশার আল আসাদ ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি ভোট পেয়েছেন—যা মোট ভোটের ৯৫.১ শতাংশ।
বাশার আল আসাদের অন্য দুই প্রতিদ্বন্দ্বীদের একজন মাহমউদ আহমেদ মারেই ভোট পেয়েছেন ৪ লাখ ৭০ হাজার ২৭৬টি— যা মোট ভোটের ৩.১ শতাংশ। তিনি এক সময় সিরিয়ায় বিদ্রোহী জোটের মহাসচিব ছিলেন। এছাড়া অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী সোশালিস্ট ইউনিয়নিস্ট পার্টির নেতা আব্দুল্লাহ সালুম আব্দুল্লাহ পেয়েছেন ২ লাখ ১৩ হাজার ৯৬৮টি ভোট— যা মোট ভোটের ১.৫ শতাংশ।
গত বুধবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার যেসব অঞ্চলে বাশার আল আসাদের সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে শুধু সেসব অঞ্চলেই ভোট গ্রহণ হয়েছে। ফলে এ নির্বাচনে বাশার আল আসাদ বড় ব্যবধানে জিতবেন বলে আগেই ধারণা করা হয়েছিল।
দেশটির বিরোধীদলগুলো এবং পশ্চিমা দেশগুলো নির্বাচনটিকে বাশার আল আসাদের ক্ষমতা আরও পাকাপোক্ত করার এক কৌশল বলে সমালোচনা করে আসছিল। এবারের নির্বাচনে বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বীই অখ্যাত বলেও সমালোচনা রয়েছে।
এ নির্বাচন অবাধ, স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও সবার জন্য উন্মুক্ত নয় বলে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিবৃতি দিয়েছেন। সিরিয়ার প্রতিবেশী তুরস্কও এ নির্বাচনকে অবৈধ বলে সমালোচনা করেছে। তবে বাশার আল আসাদ এসব সমালোচনা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘আপনাদের মতামতের কোনো গুরুত্ব নেই’।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে কথিত আরব বসন্তে সিরিয়ায় আসাদের একনায়কতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হওয়ার পর একসময় তা যুদ্ধের রূপ নেয়। গত এক দশক ধরে চলা যুদ্ধে দেশটিতে কয়েক লাখে লোকের মৃত্যু হয় ও মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক লোক বাস্তুচ্যুত হন।
বাশার আল আসাদের বাবা হাফেজ-আল-আসাদ ৩০ বছর সিরিয়া শাসন করেছিলেন। ২০০০ সালে বাবার মৃত্যুর পর সিরিয়ায় বাশার আল আসাদ ক্ষমতায় বসেন। এর পরের প্রত্যেকটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেই জয় পেয়েছেন তিনি। তবে এসব নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন উঠেছে।
সারাবাংলা/আইই