বিপদসীমার কাছাকাছি তিস্তার পানি, বন্যার আশঙ্কা
২৯ মে ২০২১ ২১:২৪
লালমনিরহাট: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে তিস্তার পানি। এ কারণে তিস্তা তীরবর্তী লোকজনের মাঝে দেখা দিয়েছে বন্যার আশঙ্কা। সেই সঙ্গে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন চরাঞ্চলের বাসিন্দা।
এরইমধ্যে নদীর পানিবৃদ্ধিতে তিস্তা চরের কয়েক শ’ একর জমির পাট, বাদাম, মরিচ, তিল, ধান বীজতলার ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
শনিবার (২৯ মে) বিকাল ৩টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির চাপে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সূত্র জানায়, শনিবার (২৯ মে) সকাল ৯টা থেকে থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকাল ৯টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার (৫২.৪৫ সেন্টিমিটার) নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পর বেলা ৩টার তিস্তার পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার (৫২.৫০ সেন্টিমিটার) নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দু’দিন ধরে উজানের পানি ও ভারি বর্ষণের কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, সানিয়াজান, সিঙ্গীমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, আদিতমারী উপজেলার চরগোবরধন, চন্ডিমারী, আরাজিছালাপাক, পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধা সিন্দুর্না, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা, ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করছে। এতে কৃষকের পাট, কুমড়া, মরিচ, বাদাম, তিল, ধান বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
তিস্তা চরাঞ্চলের কৃষক জমির উদ্দিন, আফজাল হোসেন বলেন, ‘তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ধানের বীজতলা তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এখন বর্ষা মৌসুমে ধান রোপণ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় আছি।’
তিস্তার ব্যারাজ এলাকার জেলে আকবার আলী বলেন, ‘গত দুই দিন থেকে তিস্তা পানি বৃদ্ধি পাওয়াতে নদীতে মাছ ধরতে পারছি না। আর জালেও মাছও উঠছে না।’
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘উজানের পানি ও বৃষ্টির কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার বিকেল থেকে তিস্তার পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।’
সারাবাংলা/এমও