আশুলিয়ায় বাবার বিরুদ্ধে মেয়ের ধর্ষণের মামলা
৩০ মে ২০২১ ২১:৩৮
আশুলিয়া: ঢাকার আশুলিয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে নিজের বাবার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন মেয়ে। ভুক্তভোগী পেশায় একজন পোশাক শ্রমিক। এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত বাবা। পরে ভুক্তভোগীর মা’কে তাড়িয়ে দেন বাড়ির কেয়ারটেকারসহ স্থানীয় লোকজন।
পলাতক পিতা রসুল বিশ্বাস সাতক্ষীরা জেলার মনির বিশ্বাসের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার মধুপুর এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থেকে হোটেল ব্যবসা করতেন। রোববার (৩০ মে) বিকেলে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন উর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে গতকাল শনিবার (২৯ মে) দিবাগত রাতে আশুলিয়া থানায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী মেয়ের অভিযোগ, গত ২২ মে দুপুরে অফিস ছুটির পর আশুলিয়ার মধুপুর এলাকায় নিজ বাসায় এসে গোসল করতে যাচ্ছিলেন তিনি। তখন তার মা কারখানায় চাকরিতে ডিউটি করছিলেন। এ সময় তার বাবা রসুল বিশ্বাস বাড়িতে একা পেয়ে তাকে ধর্ষণ করেনে। এ সময় তার কান্নার আওয়াজে প্রতিবেশী এক ভাড়াটিয়া দরজায় ধাক্কাধাক্কি করলে রসুল দরজা খুলে চলে যায়। এরপর স্থানীয়রা তার বাবাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেন।
তিনি আরও জানান, ৮/৯ বছর বয়সেও বাবা রসুল তার সঙ্গে একবার এমন কাজ করেছিল। এমন কি গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরায় থাকাকালীন সময়েও তাকে ধর্ষণ করেছিল। মা’কে জানালে উল্টো বাবা তাকেও মারধর করত। অন্য আত্মীয়দের জানালে কেউ তার কথা বিশ্বাস করেনি।
বাড়ির কেয়ারটেকার সোহাগ বলেন, ঘটনা শোনার পর হোটেল থেকে রসুলকে ডেকে পাঠানো হলে তিনি পালিয়ে গেছেন বলে জানতে পারি। পরে স্থানীয়রা মিলে মেয়ের মা’কেও তাড়িয়ে দেয়। স্থানীয় মহিলা মেম্বারের কাছে গিয়ে বিষয়টা জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে এসআই হারুন অর রশিদ বলেন, ভুক্তভোগী তার বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছে। পরে ভুক্তভোগীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পলাতক ব্যক্তিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সারাবাংলা/এনএস