‘ইয়াস মোকাবিলায় তিনগুণ বেশি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছিল’
৩১ মে ২০২১ ১৭:০১
ঢাকা: করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যেই আসা ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। ইয়াস মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিনগুণ বেশি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। তিনি বলেন, পাশাপাশি মৃত্যু শূন্যের কোটায় রাখা গেছে।
সোমবার (৩১ মে) সচিবালয়ে নিজ দফতরে বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীর সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সময়ে পাঁচ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবহার করা হয়েছিল। আম্পানের সময়ে করোনার কারণে ১৪ হাজার ৬৭টি আশ্রয় কেন্দ্রে ২৪ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি মানুষকে রাখা হয়েছিল। ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৭৪ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হয়েছে। স্কাউটের ছয় লাখ স্বেচ্ছাসেবক এসময় কাজ করেছেন।’
ভারতীয় হাইকমিশনার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ সরকারের সাফল্যের প্রশংসা করেন। এ দেশের উন্নয়নে তার সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে হাইকমিশনার প্রতিমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন। বিশেষ করে কোভিড-১৯, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে এবং যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় দু’দেশ একযোগে কাজ করবে বলে হাইকমিশনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ।
এ সময় বাংলাদেশ এবং ভারতে সম্ভাব্য দুর্যোগের ঘটনার ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি, দু’দেশের জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রশমন ও সহনশীলতা সৃষ্টি, দুর্যোগ সহনশীলতা নিশ্চিতকরণে দুর্যোগ সাড়াদান, পুনরুদ্ধার, প্রশমন ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক তথ্য, রিমোট সেন্সিং ডাটা ও অন্যান্য বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্ত এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা হয়।
দুর্যোগ প্রস্তুতি, সাড়াদান এবং প্রশমনে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উন্নত তথ্যপ্রযুক্তি, আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা, রিমোট সেন্সিং, নেভিগেশন পরিষেবা এবং রিয়েল টাইম ডাটা শেয়ারিংয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ও বৈঠকে উঠে আসে।
সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম