বিএনপিই জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের বিচার চায়নি: সাঈদ খোকন
৩১ মে ২০২১ ২৩:১৭
ঢাকা: বিএনপিই তার প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচার চায়নি বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
তিনি বলেন, গতকাল সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী ছিলো। আমরা কেউ হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করি না। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। বিএনপি তার প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচারই চায়নি। বিচার হবে কোথা থেকে। যেটা হয়েছে সেটা সেনা শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে। কিছু মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। এই বিচার করতে না পারা একটি বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে বিএনপির সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। প্রকাশ্য আদালতে বিচার করতে না পারা খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবনের সব চেয়ে বড় ব্যর্থতা।
সোমবার (৩১ মে) বিকেলে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউট মিলনায়তনে শেখ হাসিনার ৪১তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাঈদ খোকন বলেন, আজ যদি জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রকাশ্য আদালতে হতো, বাংলাদেশের মানুষ জানতে পারত কারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। কেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটে ছিল। কী ছিল তার উদ্দেশ্য ও রহস্য। এই হত্যাকাণ্ড আজও রহস্যময়ী হয়ে রয়েছে। দেশের মানুষ জানতে চায়, কেন এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হলো না। জনগণ আশা করে বিএনপি বিষয়টি স্পষ্ট করবে। আমি এটা বলতে চাই না বিএনপি এর সঙ্গে জড়িত ছিল বা ছিল না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রচলিত আইনেই করেছেন। ইচ্ছে করলে তিনি প্রচলিত আইনের বাহিরে গিয়েও করতে পারতেন। বিচার ব্যবস্থার প্রতি তার আস্থা ছিল। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও প্রচলিত আইনে করেছেন, রায়ও কার্যকর করেছেন।
সাঈদ খোকন বলেন, আমার নেত্রী শেখ হাসিনা আজ সারা বিশ্বে অন্যতম নেত্রীতে পরিণত হয়েছেন। শেখ হাসিনাকে আমাদের দেওয়ার মতো কিছু নেই। তিনি বাবা-মাসহ জীবনের সবকিছু হারিয়েছেন। আমাদের দেওয়ার আছে শুধু বুক ভরা ভলোবাসা।
ফাউন্ডেশনের সভাপতি অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ওমর আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার সঞ্চালনা করেন ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুল ইসলাম সুমন। সভায় বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধ আবুল কালাম আজাদ, সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সাদেক মিঠু প্রমুখ।
সারাবাংলা/এসএসএ