ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ: কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ সিগারেট জব্দ
৩১ মে ২০২১ ২৩:২৩
ঢাকা: গাজীপুরের কৌলটিয়ায় ভার্গো সিগারেট ফ্যাকটরিতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ব্যান্ডরোলসহ বিপুল পরিমাণ জব্দ করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতর। এই সিগারেট কোম্পানিটির বিরুদ্ধে বড় অঙ্কের ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (৩১ মে) রাতে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান সারাবাংলাকে এ অভিযানের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ড. মইনুল বলেন, ভ্যাট আইন অনুযায়ী কমদামি ব্র্যান্ডের সিগারেটের বিক্রয়মূল্যের ওপর ৭৩ শতাংশ ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক প্রযোজ্য। এই সিগারেট কারখানাটি সেটি করছে না। ফলে দীর্ঘ দিন ধরে কোটি কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগেই গত রাতে (রোববার মধ্যরাতে) কারখানাটিতে অভিযান চালানো হয়। এসময় অবৈধ ব্যান্ডরোলসহ বিপুল পরিমাণ সিগারেট জব্দ করা হয়েছে।
ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতরের তথ্য বলছে, প্রাথমিকভাবে হিসাব করে কারখানাটি থেকে অবৈধ সিগারেট পাওয়া গিয়েছে ১ লাখ ৯৯ হাজার শলাকা। সেখান থেকেই দুই কার্টন ব্যান্ড রোল পাওয়া গেছে, যাতে ১ লাখ ৫৬ হাজার পিস ব্যান্ড রোল ছিল। পরে কারখানার একটি গোপন কক্ষ থেকে আরও দুই কার্টন ব্যান্ড রোল উদ্ধার করা হয়। এই দুই কার্টনে পুরনো ও ব্যবহৃত ব্যান্ড রোলও পাওয়া যায়। উদ্ধার করা এই জাল ও অবৈধ ব্যান্ড রোল উৎপাদিত সিগারেটে ব্যবহার করে বাজারজাতকরণ করা হতো বলে মনে করছে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতর।
ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতর সূত্র বলছে, ভার্গো সিগারেট ফ্যাকটরিটি গাজীপুর সদরের কৌলটিয়া এলাকায় অবস্থিত। এই কারখানা থেকে ‘পার্টনার’, ‘দেশ গোল্ড’ ও ‘দেশ ব্ল্যাক’ ব্র্যান্ডের সিগারেট উৎপাদন করা হতো। জব্দ করা সিগারেটের মধ্যে ৫৬ হাজার শলাকা ছিল ‘পার্টনার’ ব্র্যান্ডের, ৮৩ হাজার শলাকা ছিল ‘দেশ গোল্ড’ ব্র্যান্ডের, বাকি ৬০ হাজার শলাকা ছিল ‘দেশ ব্ল্যাক’ ব্র্যান্ডের। সিলেট, বরিশাল ও কুমিল্লার প্রত্যন্ত এলাকায় এসব সিগারেট বাজারজাত করা হয়ে থাকে।
জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি ভার্গো টোবাকো লিমিটেড নামে ঢাকা উত্তর ভ্যাট কমিশনারেটের আওতায় নিবন্ধিত। রোববার মধ্যরাতে এর কারখানায় অভিযান চালানোর পর আজ সোমবার সকালে প্রতিষ্ঠানটির বারিধারা ডিওএইচএস এলাকার হেড অফিসে অভিযান চালায় ভ্যাট গোয়েন্দার আরেকটি দল। অভিযানে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি জব্দ করা হয়েছে।
এদিকে, ভার্গো সিগারেটের ট্রাস্ট ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংকের তিনটি ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত চালিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ভ্যাট গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে।
সারাবাংলা/এসজে/টিআর