Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১ জুন ২০২১ ১৮:২১

ভোলা: সদর উপজেলায় যৌতুক না পেয়ে তানিয়া আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠলেও তারা বলছে, কুকুরের কামড়ে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।

এ ব্যাপারে মৃত গৃহবধূর বড় ভাই মো. রাশেদ অভিযোগ করে বলেন, তার পিতা গরীব কৃষক। ২০১৭ সালে সদরের পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের সদুর চর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে মো. কামাল হোসেনের সাথে তানিয়া আক্তারের বিয়ে দেন। বিয়ের সময় কামাল হোসেনের পরিবার দুই লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার দাবি করলে তারা অনেক কষ্টে সে দাবি পূরণ করেন।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু, বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই কামাল হোসেন আবারও নগদ দুই লাখ টাকা দাবি করতে থাকেন। এ টাকা দিতে না পারায় তানিয়াকে বিভিন্ন সময় মারধর করতো স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন। তারা নিরুপায় হয়ে অনেক কষ্টে কামালকে কিছু টাকা জোগাড় করে দেন। এরই মধ্যে তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। এরপরও তাদের চাহিদা পূরণ না হওয়ায় টাকার জন্য চাপ দিয়ে তানিয়াকে মারধর করতে থাকে — বলেন মো. রাশেদ।

তিনি আরও জানান, ১৪ ফেব্রুয়ারি তানিয়ার স্বামী কামাল, কামালের মা ও ভাই বোন মিলে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার দাবি করে তানিয়াকে বেধড়ক মারধর করে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ রক্তাক্ত করে। তাদের মারধরে তানিয়া এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে তারা তানিয়াকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে তাদেরকে খবর দেয়। তারা হাসপাতালে গেলে কামালসহ তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়।

এদিকে তানিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসক তাকে বরিশাল পাঠায়। সেখানেও তার অবস্থার অবনতি হতে থাকলে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। এ অবস্থায় বিভিন্ন মানুষ ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে প্রায় চার লাখ টাকা খরচ করে র্দীঘ তিন মাস তানিয়ার চিকিৎসা চালিয়ে যায় তার পরিবার। ১৪ মে তানিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

বিজ্ঞাপন

এ ঘটনায় ২৪ মে কামাল এবং তার পরিবারে সদস্যদের বিরুদ্ধে ভোলার আদালতে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করা হয়।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মো. কামাল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যৌতুকের জন্য তানিয়াকে কখনো মারধর করা হয়নি। তাকে কুকুরে কামড় দিয়েছে।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন জানান, মরদেহের ময়না তদন্ত করা হয়েছে। রিপোর্টে যদি নির্যাতনে মৃত্যু হয়েছে এটি প্রমানিত হয় তাহলে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।

তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যেই যৌতুকের জন্য নির্যাতন মামলার এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিরা ভোলার বাইরে গা ঢাকা দিয়েছে, তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সারাবাংলা/একেএম

গৃহবধূ হত্যা যৌতুক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর