‘আঘাতের কারণেই’ ডা. সাবিরার মৃত্যু হয়
১ জুন ২০২১ ২২:২৬
ঢাকা: আঘাতের কারণেই রাজধানীর কলাবাগানে ডা. সাবিরা রহমানের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। সাবিরার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) মর্গ সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (১ জুন) দুপুরে মর্গে নিহত সাবিরার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ঢামেক’র ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. মোহাম্মদ মাকসুদ ও ডা. প্রদীপ বিশ্বাস ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। কিন্তু তারা এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
ঢামেক’র মর্গ সুত্রে জানা যায়, নিহত সাবিরা আঘাতের কারণেই মারা গেছেন। তার ঘাড়ে ও গলায় একাধিক ধারাল অস্ত্রের আঘাত ছিল। এছাড়াও তার শরীরে প্রায় ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
মৃতের মামাতো ভাই রেজাউল হাছান বলেন, গত বছর করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির পর থেকে কোনো আত্মীয়ের বাসায় যাতায়াত ছিল না। সবার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ হত। সাবিরার বাসাতেও যাওয়া হত না। আমার এই মুহূর্তে কাউকে সন্দেহ হচ্ছে না। ঘাতকরা ধারাল অস্ত্রের আঘাতে হত্যার পর তাকে আগুনে পুড়িয়ে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আমরা অবশ্যই দোষী ব্যক্তিদের শনাক্ত ও তাদের কঠোর বিচারের দাবি করছি। তাদের এমন বিচার হোক যেন এমন কোনো নৃশংস ঘটনা আর না ঘটে।
আরও পড়ুন: কলাবাগানে নারী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার, শরীরে অস্ত্রের আঘাত
তিনি আরও বলেন, সাবিরার মৃতদেহে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে। পরে পরিবারের সবাই বসে মামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কলাবাগানের ওই বাসায় সাবিরা একাই থাকত। তার দুই সন্তান গ্রীনরোডে নানীর বাসায় থাকে।
এর আগে ডা. সাবিরা রহমানের মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে কলাবাগান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাহমিনা রহমান। সুরতহাল প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, কুমিল্লার কোতয়ালি ভরাসার বাজার এলাকার মৃত কাজী ওয়াহিদুর রহমান মেয়ে তিনি। তার মায়ের নাম সালমা বেগম।
আরও উল্লেখ করা হয়, মৃতদেহের বুক থেকে নিচের সম্পূর্ণ অংশ পোড়া দগ্ধ। এছাড়া তার গলার বাম পাশে দুটি কাটা চিহ্ন, কানের নিচে, পিঠের মাঝ বরাবর তিনটি কাটা ও কোমর একটি কাটা চিহ্ন রয়েছে। গত ৩০ মে দিবাগত রাত এগারোটা থেকে ৩১ মে সকাল ১০টার মধ্যে যেকোনো সময় পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
সারাবাংলা /এসএসআর/এনএস