বাজারে আসতে শুরু করেছে হাসাউড়ার আনারস
২ জুন ২০২১ ১০:৪৬
সুনামগঞ্জ: জেলার বাজারে আসতে শুরু করেছে সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের হাসাউড়া এলাকার একাধিক বাগানের সুস্বাদু আনারস। গত এক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন স্থানে অল্প পরিমাণে আনারস বিক্রি হতে দেখা গেছে। শহরের জুবিলী স্কুলের মাঠের পাশে বেশি পরিমাণে পাইকারি ব্যবসায়ীরা এই আনারস নিয়ে আসেন। আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত হাসাউড়ার আনারস বিক্রি করা যাবে বলে জানান একাধিক পাইকারী ব্যবসায়ী।
গত বছরের তুলনায় এবার আনারসের উৎপাদন অনেকটা বেশি হয়েছে। তবে অসহনীয় গরমে সামান্য ক্ষতিও হয়েছে আনারসের। বাজারে আসা প্রথম পর্যায়ের আনারসের দাম একটু বেশি হলেও আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তা কমে আসবে। এখন প্রতিদিন ১০-১২জন পাইকারি ব্যবসায়ী আড়াই থেকে তিন হাজার আনারস হাসাউড়া, দর্পগ্রামের বানাইগাঁও, রসুলপুর ও মাঠগাঁওয়ের বাগান থেকে নিয়ে আসছেন বাজারে। আগামী সপ্তাহে এই আনারস জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হবে। এমনকি জেলার বাইরেও পাইকারি বিক্রি করা হবে।
পাইকারি বিক্রেতা বিধান দাস, সবুজ দাস, অমিত দাস, সঞ্জিত দাস জানান, প্রতি ১০০ পিস আনারস পাইকারিতে তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায় বিক্রি করছেন। এই আনারস তাদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে শহরের ব্যবসায়ীরা খুচরা দামে বিক্রি করছেন। তবে প্রতি সপ্তাহের শুক্রবারে বাগানের আনারস কাটা বন্ধ থাকে। খুচরা ব্যবসায়ীরা আগের দিনের আনারস বিক্রি করেন বাজারে।
শহরের খুচরা ব্যবসায়ী নয়ন দাস, আনোয়ার হোসেন, রবিন মিয়া, পবন দাস জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে হাসাউড়ার বাগের আনারস বিক্রি করে আসছেন। প্রথম দিকে যে দামে কেনা হয়েছিল, সেই দামেই আনারস বিক্রি করেন তারা। প্রতিবছর বেশি পরিমাণে বাজারে আসলে আনারসের দাম কমিয়ে বিক্রি করতে হয়।
খুচরা ব্যবসায়ী খলিল মারুফ রাব্বি আব্দুল কদ্দুছ, মোহাম্মদ আলী জানান, হাসাউড়ার আনারস খুবই সুস্বাদু। তাই হাসাউড়ার আনারস সকলে পছন্দ করেন। তারা প্রতি হালি আনারস সর্বনিম্ন ছোট আকারের ১৫০ টাকা হালি, মাঝারি ২০০ টাকা এবং বড় আকারের আনারস ২৫০ টাকা প্রতি হালি বিক্রি করেছেন।
আনারস ক্রেতা রফিক মিয়া সুজন মিয়া ও জয়ন্ত দাস বলেন, রসে ভরা হাসাউড়ার আনারস। স্বাদে ও গন্ধে মন ভরে যায়। পরিবারের সবাই সারাবছর অপেক্ষা করেন হাসাউড়ার আনারসের জন্য। দাম বেশি হলেও খেয়ে তৃপ্তি পাই।
বাজারে আসা আনারস ক্রেতা ফজু মিয়া শফিক মিয়া জাকের আলী বলেন, হাসাউড়ার আনারস খুবই লোভনীয়। দেখা মাত্র নেওয়ার জন্য দাম-দর করি। পরে এক জোড়ার পরিবর্তে এক হালি নিয়ে যাই।
আনারসের ক্রেতা আনচার আলী বলেন, হাসাউড়ার আনারস এতোই সুস্বাদু যে যদি সারা বছর রেখে খাওয়া যেতো এবং আনারসের স্বাদ এভাবেই থাকতো। তবে সংরক্ষণ করে রাখতাম।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের জুবিলী স্কুল মাঠের পাশে, ট্রাফিক পয়েন্ট, পৌর মার্কেটের সামনে এই হাসাউড়ার আনারস বিক্রি হতে দেখা গেছে।
সারাবাংলা/এনএস