ঢাকা: সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু ও সংসদ সদস্য আসলামুল হকসহ বিগত অধিবেশন শুরু হওয়ার পর মারা যাওয়া বিশিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি শোক জানিয়েছে জাতীয় সংসদ। এই দুইজন সংসদ সদস্য ছাড়াও ইতোমধ্যে সাবেক একজন মন্ত্রী এবং ১১ জন সংসদ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২ জুন) বিকেল ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনের শুরুতেই সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়ন ও শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।
সংসদের রেওয়াজ অনুযায়ী, চলতি সংসদের কোনো সদস্য মারা গেলে বৈঠকে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। পরে শোক প্রস্তাব নিয়ে সংসদে আলোচনা শেষে বিশেষ মোনাজাত ও শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়।
গত অধিবেশনের পর নবম সংসদে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি সারাহ বেগম কবরী, রাজশাহী-৩ আসনের সাবেক এমপি মেরাজ উদ্দিন মোল্লা, দশম জাতীয় সংসদে সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের গাজী মো. আমজাদ হোসেন মিলন, তৃতীয়, চতুর্থ ও অষ্টম জাতীয় সংসদের নোয়াখালী-৩ আসন থেকে নির্বাচিত সাবেকমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান, কুমিল্লার-৪ আসনের সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ ইউনুস, ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক এমপি জিয়াউর রহমান খান, পাবনা-৪ আসনের সাবেক সাংসদ আব্দুল বারি সরদার, সিলেটের সাবেক এমপি দিলদার হোসেন সেলিম, মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ খানের মৃত্যুতে শোক জানানো হয়।
এছাড়া সংসদ সচিবালয়ের অফিস সহায়ক যুবরাজ খান, ভাষাসৈনিক আবুল হোসেন, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী, বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেকের মা ফুজিয়া মালেক, অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতের সহধর্মিনী অধ্যাপক ডা. শাহিদা আক্তার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ইত্তেফাক পত্রিকার সাবেক নির্বাহী সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক হাসান শাহরিয়ার, বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মিতা হক, একুশে পদকপ্রাপ্ত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধা লোকসংগীত শিল্পী ও গবেষক ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রথম টেলিভিশন অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা এবং পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ কে এম রফিক আহমেদ, সাবেক প্রধান তথ্য কর্মকর্তা হারুন-উর-রশিদ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন রেফারেল সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল খায়ের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান, চলচ্চিত্র অভিনেতা ওয়াসিম এবং রংপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবদুর রশিদ বাবুর মৃত্যুতে মহান সংসদে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করা হয়।