মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ বাড়ছে
৩ জুন ২০২১ ১৮:৪৯
ঢাকা: নতুন অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জন্য ৪ হাজার ১৯১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যা গেল অর্থবছরের চেয়ে ৩৩১ কোটি টাকা বেশি।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
সরকার জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ অনুসরণ করে সকল কার্যক্রম ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে নারীর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষমতায়ন, জেন্ডার বৈষম্য দূরীকরণ ও শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠা করা এবং তাদেরকে সামগ্রিক উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্তকরণে সরকার বদ্ধপরিকর।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আরও বলেন, অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা অনুসরণে নারীর মানবিক সক্ষমতা, অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ ও সুবিধা বৃদ্ধি, নারীর কণ্ঠস্বর ও প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নারীদের জন্য অবকাঠামো ও যোগাযোগ পরিষেবা বৃদ্ধি ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা জোরদার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘নারী ও শিশুদের সংকট ও ঝুঁকি থেকে সুরক্ষা ও স্থিতিস্থাপকতা নিশ্চিতকরণে সরকার সচেষ্ট। কোভিড-১৯ এর চলমান অভিঘাত মোকাবিলা ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে নারীদের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘পল্লী ও শহরের দরিদ্র গর্ভবতী মায়েদের জন্য স্বাস্থ্য ও তাদের গর্ভস্থ সন্তানের পুষ্টি চাহিদা পূরণ এবং শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশে মাতৃত্বকালীন ভাতা ও কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা প্রদান এবং নারীদের আত্ম কর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্রঋন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে মাল্টিসেক্টারাল প্রোগ্রাম এর প্রধান কার্যক্রম, বিভাগীয় জেলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের জন্য ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার এবং ৪৭ জেলা সদর হাসপাতাল ও ২০ টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ মোট ৬৭ টি ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেল স্থাপন করা হয়েছে। মোবাইল অ্যাপস জয় এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।’
মন্ত্রী আরও জানান, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র আইন ২০২১ প্রণীত হয়েছে, যা শিগগরিই জাতীয় সংসদে পাশ হবে। সরকার শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপন, হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল শিশুদের জন্য শিশু বিকাশ কেন্দ্র কার্যক্রম সম্প্রসারণ এবং দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাসমুহের দুস্থ ও অসহায় মহিলাদের কর্মসংস্থান প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। সর্বোপরী নারী নির্যাতন প্রতিরোধ, কর্মক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা বিধানসহ নারীর সামগ্রিক আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার মাধ্যমে উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখবে সরকার।
সারাবাংলা/জেআর/একে