প্রতিটি আদালতকে ই-কোর্টে পরিণত করা হবে: অর্থমন্ত্রী
৩ জুন ২০২১ ২২:৫০
ঢাকা: বিচার ব্যবস্থা সহজ করার পাশাপাশি বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি কমাতে দেশের প্রতিটি আদালতকে ই- কোর্টে পরিণত করা হবে। আটক করা দুর্ধর্ষ আসামিদের আদালতে হাজির না করে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিচারকাজ পরিচালনা করার তথ্য জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় এ কথা বলেন। বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘সুপ্রিমকোর্ট সহ অধস্তন সকল আদালতকে অটোমেশন ও নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। অধস্তন আদালতসমুহের বিচারাধীন মামলার বর্তমান অবস্থা, শুনানির তারিখ, ফলাফল ও পূর্ণাঙ্গ রায় নিয়মিত ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। এ সকল উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে বিচারপ্রার্থীরা দ্রুত এর সুফল ভোগ করতে পারবেন।’
বক্তৃতায় তিনি আরও বলেন, ‘বিচার কার্যক্রমে গতিশীলতা বাড়াতে তথ্য প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক বিচার ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজড করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সে লক্ষ্যে ই- জুডিশিয়ারি প্রকল্পের আওতায় দেশের সামগ্রিক বিচার ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজড করা হবে।’
ভূমি ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিষয়ে বলেন, ‘ভূমি ব্যবস্থাপনায় নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়ার পাশাপাশি পর্চা গ্রহণসহ সকল সেবা দ্রুত ও মানুষের ভোগান্তি কমাতে ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন করা হচ্ছে।’ ভূমি সংক্রান্ত সকল সেবা ১৮ টি সফটওয়্যারের মাধ্যমে অটোমেশন করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, ‘কৃষি জমি সুরক্ষা ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সারাদেশে মৌজা ও প্লটভিত্তিক জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিং করা হবে। ভূমি ব্যবহারের প্রকৃতি অনুযায়ী ডিজিটাল জোনিং করা হলে দেশের কৃষি জমি সুরক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে এবং ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের সকল রাজস্ব আদালতের মামলাসমূহ একটি সমন্বিত নেটওয়ার্কিং সিস্টেমের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে দেশের সকল রাজস্ব আদালতের মামলা নিস্পত্তিতে গতিশীলতা আসবে এবং জনগনের দুর্ভোগ লাঘব হবে।’
ভূমি নিবন্ধন ব্যবস্থাকে ডিজিটাইজেশন করার জন্য ‘ভূমি নিবন্ধন ব্যবস্থাপনা অটোমেশন’ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে জনগণ ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে সেবা পাবেন। এতে ভুমি নিবন্ধন প্রক্রিয়া আইটি নির্ভর হওয়ায় আরও সহজ হবে, সচ্ছতা বাড়বে এবং ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ হ্রাস পাবে।
সারাবাংলা/জেআর/একে