বেরোবিতে ফের টাঙানো হলো হাজিরা খাতা, কলিমউল্লাহ ‘মেয়াদোত্তীর্ণ’
৪ জুন ২০২১ ০০:৩৭
রংপুর: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে ‘মেয়াদোত্তীর্ণ’ মূল্যায়ন করে হাজিরা খাতা টাঙিয়ে দিয়েছে উপাচার্যবিরোধী শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বেলা ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে ও শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বরে ২টি বৃহৎ আকৃতির হাজিরা খাতা টাঙিয়ে দেন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বৃহৎ সংগঠন অধিকার সুরক্ষা পরিষদ।
টাঙানো হাজিরা খাতায় উপাচার্যের চাকরির নিয়োগে দেখানো হয়েছে ১ জুন, ২০১৭। যোগদানের তারিখ ১৪ জুন, ২০১৭। মেয়াদপূর্তি ৩১ মে, ২০২১। মেয়াদপূর্তির স্থানে বলা হয়েছে মেয়াদোত্তীর্ণ। যোগদানের পর থেকে দিনের সংখ্যা ১ হাজার ৪৪৭। মোট উপস্থিতি ২৪০ দিন। মোট অনুপস্থিতি ১ হাজার ২০৭ দিন।
এছাড়া হাজিরা খাতার বোর্ডে আজকের অবস্থানে বলা আছে মেয়াদোত্তীর্ণ। সেই সঙ্গে মূল্যায়নে মন্তব্যের ঘরে লেখা আছে ‘ডিসকোয়ালিফায়েড’। আর সুপারিশ হিসেবে বলা হয়েছে, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহসভাপতি রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তরিকুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমান, সরকার সমর্থিত শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের সাধারণ সম্পাদক লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মণ্ডল, শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি তুহিন ওয়াদুদ প্রমুখ।
অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মতিউর রহমান বলেন, ‘এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা। আমরা হাজিরা খাতার মাধ্যমে রাষ্ট্রকে তার অনিয়মের নমুনা দেখাতে চেষ্টা করেছি। রাষ্ট্র সব বিশ্ববিদ্যালয়ের লিয়াজোঁ অফিস বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে অথচ তিনি তা উপেক্ষা করে ঢাকার লিয়াজোঁ অফিস খোলা রেখে এখনও দুর্নীতি করে যাচ্ছেন।’
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমান বলেন, ‘ড. কলিমুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়টিকে যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছেন, তারই চিত্র এটি। শুধু উপাচার্য নন, তার সঙ্গে থেকে সংঘবদ্ধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ধ্বংসে সহযোগিতা করেছেন যারা, তাদেরও শাস্তি দাবি করছি।’
উল্লেখ্য, উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) গঠিত তদন্ত কমিটি। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, নিয়োগসহ দেড় শতাধিকেরও বেশি অভিযোগ তদন্ত করেছে ইউজিসির আরেকটি তদন্ত কমিটি।
এ ব্যাপারে জানতে উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর মুঠোফোনে একাধিকার যোগাযোগ করা হলে, তা বন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়া রেজিস্ট্রার আবু হেনা মুস্তাফা কামালের মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে তিনি ধরেননি।
সারাবাংলা/পিটিএম