Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাজেটে ৫ প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার দাবি বিজিএমইএ’র

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৫ জুন ২০২১ ২১:৪৯

ঢাকা: করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত সংকট মোকাবিলায় রফতানি পণ্যে আরোপিত দশমিক ৫০ শতাংশ উৎসে কর আগামী ৫ বছর বহাল রাখার বিষয়টি বাজেটে পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন (বিজিএমইএ)। একইসঙ্গে নন-কটন শিল্প খাতে ১০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তার বিষয়টিও পুনর্বিবেচনার দাবি তাদের।

শনিবার (৫ জুন) উত্তরার বিজিএমইএ কার্যালয় বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এই দুই দাবিসহ মোট পাঁচটি দাবি তুলে ধরেন সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসান।

বিজ্ঞাপন

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বর্তমানে পোশাক শিল্পের ওপর যে আর্থিক চাপ আছে, সেটি বিবেচনা করে মজুরি বাবদ দেওয়া প্রণোদনা পরিশোধের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে আমাদের সুপারিশ বিবেচনাযোগ্য বলে আমরা মনে করি। কারণ শিল্প বাঁচলে ব্যাংকের ঋণ শোধ হবেই। সেইসঙ্গে কর্মসংস্থানও নিরাপদ হবে। তাই ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে আমাদের প্রস্তাবগুলো বিশেষভাবে পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানাচ্ছি।

নিজেদের দাবিগুলো তুলে ধরে পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের এই শীর্ষ নেতা বলেন, প্রথমত, বাজেটে নগদ সহায়তার ওপর আরোপিত ১০ শতাংশ কর প্রত্যাহারের অনুরোধ পুনর্বিবেচনার আবেদন করছি। এই সংকটময় সময়ে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা হবে। বিশেষ করে অর্থমন্ত্রী বেশকিছু খাতে কর সহজ করেছেন। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। করোনার ফলে আমাদের বিনিয়োগ, রফতানি ও কর্মসংস্থানে মন্দা বিরাজ করছে। গত দেড় বছরে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হয়নি বললেই চলে। এ অবস্থায় এই করটি প্রত্যাহার করলে সরকার খুব বেশি রাজস্ব হারাবে না, কিন্তু শিল্প উপকৃত হবে।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো ক্যাশ-ফ্লো ম্যানেজ করা, যেটি করতে না পেরে অনেক কারখানা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হচ্ছে। কর কিছুটা কমলে আমাদের ক্যাশ-ফ্লোতে কিছুটা স্বস্তি আসবে। কারখানা টিকলে কর্মসংস্থানে নতুন গতি আসবে। আর পোশাক শিল্প ঘুরে দাঁড়ালে অর্থনীতির বৃহৎ পরিসরে পণ্য ও সেবার অন্য ব্যয় ও লেনদেন বাড়বে; যেমন— হোটেল, পর্যটন, ব্যাংক, বিমা, প্রসাধনী ইত্যাদি খাতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। ফলে সরকারের পক্ষে আয় বাড়বে।

বিজ্ঞাপন

বিজিএমইএ বলছে, করোনার ফলে বিশেষ করে নতুন বাজারগুলো অর্থনৈতিকভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এসব বাজারে রাফতানি কমে আসছে। নতুন ও অপ্রচলিত বাজারে রফতানি ধরে রাখতে প্রণোদনার হার ৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করার অনুরোধ জানান বিজিএমই সভাপতি। তিনি বলেন, এই সহায়তা বর্তমান সময়ে আমাদের বাজার টিকিয়ে রাখতে সহাযতা করবে।

তিনি বলেন, নন-কটন পোশাকে রফতানির ওপর ১০ শতাংশ হারে বিশেষ প্রাণোদনা দেওয়া হলে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব। এখানে এই মুহূর্তেই উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কর্মসংস্থান তৈরি হবে, রফতানি বাড়বে। সেইসঙ্গে নতুন দক্ষ শ্রমিক তৈরি হবে, প্রযুক্তির ব্যবহার শিখব এবং আরও বিনিয়োগ আসবে। পাশাপাশি নন-কটন বস্ত্র ও পোশাক খাতে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য একটি বিশেষ স্ক্রিম গ্রহণের সুপারিশ করছি। এর মাধ্যমে আমাদের ২০১৯ পরবর্তী সময়ে ‘দুই-ধাপ’ উৎপাদন প্রক্রিয়া প্রতিপালন করে জিএসপি প্লাসের জন্য প্রস্তুত হতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজীম, সহসভাপতি এস এম মান্নান কচি, রফিকুল ইসলামসহ অন্যরা।

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

বাজেট ২০২১-২২ বিজিএমইএ সংবাদ সম্মেলন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর