বাংলাদেশে অনুমোদন পেল চীনের সিনোভ্যাক
৬ জুন ২০২১ ১১:২০
ঢাকা: চীনের বেসরকারি কোম্পানি সিনোভ্যাক বায়োটেক উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন বাংলাদেশে জরুরি প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পঞ্চম ভ্যাকসিন হিসেবে এটি প্রয়োগের অনুমতি পেল।
রোববার (৬ জুন) ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমানের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সিনোভ্যাকের পক্ষে ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেড এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমতি পেতে আবেদন করেছিল। মূল্যায় কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর ৩ জুন এটি প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। দেশে ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিডেট এই ভ্যাকসিনের লোকাল এজেন্ট হিসেবে কাজ করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সিনোভ্যাকের এই ভ্যাকসিন ১৮ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের জন্য ব্যাবহার উপযোগী। দুই ডোজের এই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ প্রয়োগের ২ বা ৪ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। এ ভ্যাকসিনের সংরক্ষণ তাপমাত্রা ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি চীনের ন্যাশনাল মেডিসিনাল প্রোডাক্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সিনোভ্যাক বায়োট উদ্ভাবিত এই ভ্যাকসিনটি প্রয়োগের অনুমোদন দেয়। গত ১ জুন এটি জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ডব্লিউএইচও এক বিবৃতিতে জানায়, উৎপাদন প্রক্রিয়া, মান ও নিরাপত্তার দিক থেকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখায় দুই ডোজের এ ভ্যাকসিনটি জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেওয়া হলো। এর তিন দিন পর থেকে ১৭ বছর বয়সের শিশুদের জন্য সিনোভ্যাকের কোভিড-১৯ টিকা দেওয়ার জরুরি অনুমোদন দেয় চীন। শুক্রবার (৪ জুন) রাতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এ তথ্য জানান চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক কোম্পানির প্রধান ইয়িন উইডং।
সিনোভ্যাক বায়োটেক কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা মে মাসের শেষ নাগাদ দেশ-বিদেশে এই ভ্যাকসিনের ৬০ কোটিরও বেশি ডোজ সরবরাহ করেছে। ৪৩ কোটি ডোজ এরই মধ্যে মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে।
এদিকে, দেশে পঞ্চম কোনো ভ্যাকসিন হিসেবে সিনোভ্যাকের এই ভ্যাকসিনটি প্রয়োগের অনুমতি পেয়েছে। গত ৭ জানুয়ারি সবার আগে দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছিল সরকার। এরপর গত ২৭ এপ্রিল রাশিয়ার জেনেরিয়াম জয়েন্ট স্টক কোম্পানি উদ্ভাবিত স্পুটনিক-ভি, ২৯ এপ্রিল বেইজিং ইনস্টিটিউব অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস উদ্ভাবিত সিনোফার্ম ভ্যাকসিন এবং ২৭ মে ফাইজার-বায়োএনটেক উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন দেশে প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছিলে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর।
এর মধ্যে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন দেশে প্রয়োগ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে এই ভ্যাকসিনের এক কোটি ডোজ প্রয়োগ শেষ হয়েছে। চীনের সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের ৫ লাখ ডোজ উপহার দিয়েছে চীন সরকার, ৬ লাখ ডোজ উপহার হিসেবে পাঠানোর কথা রয়েছে চীনের। এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগও শুরু হয়েছে। সবশেষ সোমবার রাতে দেশে এসেছে ফাইজারের ১ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন।
আরও পড়ুন-
সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিন জনসাধারণকে প্রয়োগের অনুমতি চীনের
ব্রাজিলের এক শহরে স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে এনেছে সিনোভ্যাক ভ্যাকসিন
সারাবাংলা/এসবি/এএম