৪ শতাংশ শ্রমিক কারখানার নিজস্ব পরিবহন পেয়েছিলেন: সানেম
৬ জুন ২০২১ ২৩:০২
ঢাকা: সরকার আরোপিত কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালে তৈরি পোশাক খাতের মাত্র ৪ শতাংশ শ্রমিক কারখানার নিজস্ব পরিবহন পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)।
করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালে পোশাক শ্রমিকদের জীবনে কী পরিবর্তন এসেছে, তা বুঝতে মাইক্রোফাইন্যান্স অপরচুনিটিজের (এমএফও) সঙ্গে পরিচালিত এক যৌথ জরিপের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। রোববার (৬ জুন) এই জরিপের তথ্য প্রকাশ করেছে সানেম।
১ হাজার ২৮৫ জন পোশাক শ্রমিকের একটি নির্বাচিত পুল থেকে গত ২৩ এপ্রিল ফোনে পরিচালিত জরিপের মাধ্যমে এসব তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এই জরিপে অংশ নেওয়া তিন-চতুর্থাংশের বেশি উত্তরদাতা নারী শ্রমিক, যা সামগ্রিকভাবে এই খাতের বাস্তব চিত্রের প্রতিফলন। কোভিড-১৯ এর কারণে দেওয়া বিধিনিষেধ পরিস্থিতি এবং ভ্যাকসিনের বিষয়ে তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের সচেতনতা ও মতামতের ওপর জরিপে আলোকপাত করা হয়।
সানেম জানিয়েছে, জরিপে অংশ নেওয়া ৮ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, এই সময়ে তাদের বিকল্প ব্যবস্থায় কারখানায় যাতায়াত করতে হয়েছে। মাত্র ৪ শতাংশ জানিয়েছেন যে তারা কারখানার পরিবহন ব্যবস্থা ব্যবহার করেছেন। জরিপে অংশগ্রহণকারী ৭৬ শতাংশ শ্রমিক পায়ে হেঁটে, ১০ শতাংশ রিকশায়, ৬ শতাংশ অটো-রিকশায়, ২ শতাংশ বাসে এবং ২ শতাংশ সিএনজি’তে করে কর্মস্থলে যান বলে জানিয়েছেন।
সানেম বলছে, সবমিলিয়ে ৯২ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন যে তাদের যাতায়াতের মাধ্যমে কোনো পরিবর্তন আসেনি। অর্থাৎ অধিকাংশ শ্রমিক সাধারণত পায়ে হেঁটে কর্মস্থলে যান। এর মাধ্যমে বোঝা যায় যে শ্রমিক পরিবহনের জন্য প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত যানবাহনের ব্যবস্থা করার যথাযথ পদক্ষেপ কারখানাগুলো নেয়নি।
এছাড়া জরিপে অংশ নেওয়া মাত্র ২ শতাংশ শ্রমিক কোভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচির জন্য নির্বাচিত (যোগ্য বা উপযুক্ত) কি না— এমন প্রশ্ন করা হলে ৩৬ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন যে তারা ভ্যাকসিন কর্মসূচির জন্য নির্বাচিত। অর্থাৎ তারা চাইলে ভ্যাকসিন নিতে পারতেন। ২৮ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা ভ্যাকসিন কর্মসূচির জন্য নির্বাচিত নন, ৩৪ শতাংশ জানিয়েছেন যে এ বিষয়ে তারা কিছু জানেন না।
সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর