শর্ত মানতে নারাজ ভারতীয় ব্যবসায়ীরা, উল্টো রফতানি বন্ধের হুমকি
৭ জুন ২০২১ ১৩:৪১
হিলি: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য রফতানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের হুমকি দিয়ে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সংগঠনকে চিঠি দিয়েছে ভারতের ব্যবসায়ীরা। আগামী ৯ জুন থেকে রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে বলে ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণের কার্ড নিয়ে ভারতীয় ট্রাক চালকদের বন্দরে প্রবেশ ও সীমিত পরিসরে আমদানি কার্যক্রম চালানো জন্য বাংলাদেশের হিলির ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের একটি চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানানো হয়। চিঠির জবাবে শর্ত মানতে নারাজ ভারতীয় ব্যবসায়ীরা উল্টো রফতানি বন্ধের ঘোষণা দিয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের।
রোববার (৬ জুন) রাতে রফতানি বন্ধ সংক্রান্ত একটি চিঠি বাংলাদেশের হিলি সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাছে পাঠান তারা।
চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশের হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, হিলিতে দিন দিন করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা সংক্রমণ রোধে সরকারের দেওয়া নির্দেশনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে আমদানি কার্যক্রম করতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের চিঠি পাঠিয়েছিলাম। সেই চিঠিতে ভারতীয় ট্রাক চালকদের করোনা টিকা গ্রহণের কার্ড এবং প্রতিদিন ৫০ ট্রাকে পণ্য আমদানির বিষয়ে জানানো হয়। সেই চিঠি পাওয়ার পর তারা আমাদের শর্ত মানতে অনীহা প্রকাশ করে উল্টো চারটি শর্ত দিয়ে অনিদিষ্টকালের জন্য পণ্য রফতানি বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। সেই শর্তগুলো আমরা না মানলে তারা আগামী ৯ জুন থেকে আমাদের সঙ্গে বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ করে দেবে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে আমাদের স্থানে অটুট আছি, তারা রফতানি বন্ধ করে দেয় দেবে।
ভারতীয় ব্যবসায়ীরা তাদের চিঠিতে বলেছে, সব ট্রাক চালকদের টিকা গ্রহণ তাদের পক্ষে সম্ভব না, পূর্বের মতো সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত আমদানি/রফতানি কার্যক্রম চালাতে হবে। আপনাদের এক সিদ্ধান্তের কারণে আমরা অপমানিত হচ্ছি। অনন্য বন্দরের মতো হিলিবন্দরেও গাড়ি স্বাভাবিকভাবে নিতে হবে।
হাকিমপুর পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, হিলি একটি ঘনবসতি এলাকা। আমরা ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে বারবার তাদের তাগাদা দিচ্ছি কিন্ত তারা মানতে নারাজ। আমরা আতংকিত অবস্থায় আছি। তাই আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করবো স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতের বিষয়ে যেন আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
সারাবাংলা/এএম