ছুরিকাঘাত করে ছিনতাই: ধরিয়ে দিলো সিসি ক্যামেরা
৭ জুন ২০২১ ১৯:২৮
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাত করে টাকা-মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনায় এক তরুণকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার তরুণ পেশাদার ছিনতাইকারী দলের সদস্য। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় ধারণ হওয়া ছিনতাইয়ের দৃশ্য দেখে তাকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোববার (৬ জুন) রাত সোয়া ১২টার দিকে নগরীর আকবর শাহ থানার কর্নেল জোন্স রোডে ভ্যানগার্ড গার্মেন্টস লিমিটেডের সামনে সড়ক থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গ্রেফতার মো. সম্রাট (২০) চট্টগ্রাম নগরীর উত্তর কাট্টলী এলাকার মৃত শাহ আলমের ছেলে। তার কাছ থেকে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেন।
ছুরিকাঘাতের শিকার মো. খাইরুল ইসলাম ঢাকার উত্তরার মদিনা ট্রেডিং করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। নগরীর সিডিএ আবাসিক এলাকার এক নম্বর সড়কে তার বাসা।
ওসি জহির হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘শনিবার গভীর রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাসা থেকে রিকশায় করে এ কে খান এলাকায় ইউনিক বাস কাউন্টারে যাচ্ছিলেন খাইরুল ইসলাম। বাসে ঢাকায় কর্মস্থলে যাওয়ার কথা ছিল তার। রিকশা ডিটি রোডে নিউ মনসুরাবাদ কর্নেলহাট মদিনা মার্কেটের সামনে পৌঁছালে প্রথমে দু’জন গতিরোধ করে। এসময় আরও দু’জন তাকে ছোরার ভয় দেখিয়ে নগর ৮ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। খাইরুলের সঙ্গে থাকা ব্যাগও ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়। এর একপর্যায়ে তাকে ছুরিকাঘাত করে সম্রাট।’
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর ছিনতাইকারীদের ধরতে অভিযানে নামে আকবর শাহ থানা পুলিশ। ওসি জহির জানান, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে সম্রাটসহ চার ছিনতাইকারীর সবাইকে শনাক্ত করা হয়। এরপর সম্রাটকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আগেও চারটি ছিনতাইয়ের মামলা আছে। গত ফেব্রুয়ারিতে এবং মে মাসে তাকে দুই দফায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়। কয়েকদিন আগে জামিনে জেল থেকে বেরিয়ে সম্রাট আবারও ছিনতাইয়ে জড়ায়।
সম্রাট যে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য, একই চক্রে আরও ৬-৭ জন আছে জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, ‘তারা সাধারণত রাতে বের হয়। গভীর রাতে রিকশা কিংবা অটোরিকশায় একা কাউকে পেলে গাড়ির গতিরোধ করে ছিনতাই করে। এসময় বাধা পেলে তারা ছুরিকাঘাত করে।
সারাবাংলা/আরডি/টিআর